আবারও হাসপাতালে যেতে হতে পারে খালেদাকে

0
DBN khaleda ZIA

ফাইল ফটো

বিএনপি প্রতিনিধি:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান রিপোর্টে তার ফুসফুসে ‘অত্যন্ত কম’সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই তার আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন আরও কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে তাকে। এই মুহূর্তে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হলেও আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আবারও পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। এরপর রিপোর্টটি বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে অনলাইনে পাঠানো হয়। এরপর ডা. জোবাইদা রহমান, ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. শাকুর খান ও ডা. মামুনসহ কয়েকজন বিদেশি চিকিৎসক সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত করা হয়।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। ডা. জোবাইদা রহমানের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা এটি পর্যালোচনা করেছেন। সেই অনুযায়ী ম্যাডামের আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন ওষুধ যুক্ত করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে। তবে, করোনা রোগীর কখন কী হয় সেটা বলা মুশকিল। তাই তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিও আমাদের রয়েছে।’

এর আগে গতকাল রাতে হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান শেষে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ম্যাডামের রিপোর্ট ভালো এসেছে। ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা অত্যন্ত মিনিমান, নেগলিজিবল অ্যামাউন্ট।’

এদিকে, দলীয় সূত্র জানা গেছে, খালেদা জিয়া নিজেই হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু পূত্রবধু জোবায়দা রহমানের পরামর্শে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে যেতে রাজি হন তিনি। এছাড়া ফুসফুসের সিটিস্ক্যনের রিপোর্ট না দেখে তার সেঠিক চিকিৎসা দিতে পারছিলেন না চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার রাতে এভার কেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য নেওয়া হলে জরুরি বিভাগ থেকে তিনি কেবিনে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। ব্যক্তিগত এক ডাক্তারকে তিনি বলেন- আমি কিন্তু কেবিনে যাবো না। কাজ শেষে বাসায় চলে যাবো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার এক ডাক্তার বলেন, হয়তো আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আবারও প্রয়োজন হলে খালেদা জিয়াকে কয়েকটি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হতে পারে। তবে, এটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগামী কয়েকদিন তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *