উন্নয়নে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান স্পিকারের

টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তৃণমূল মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় সংসদ ও ইউএনএফপিএর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আবদুর রব হাওলাদার। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ডা. আ ফ ম রুহুল হক, মো. হাবিবে মিল্লাত ও ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, ইউএনএফপি’র আবাসিক প্রতিনিধি আইরি কাটো, অতিরিক্ত সচিব এওয়াইএম গোলাম কিবরিয়া এবং প্রকল্প পরিচালক এম এ কামাল বিল্লাহ।
স্পিকার বলেন, “নতুন নতুন ধ্যানধারণা ও আবিষ্কারের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে জনসচেতনতা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ কাজে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। তাদেরকে এ কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। ” তিনি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ন্যায় টেকসই উন্নয়ন অভিষ্টসমূহের সফল বাস্তবায়ন করতে হলে তৃণমূল পর্যায়ে এ কাজের বিস্তার ঘটাতে হবে। সাধারণ জনগণকে এর সঙ্গে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে। ” সেক্ষেত্রে দ্রুত সফলতা পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বর্তমান সরকারের সফলতা তুলে ধরে স্পিকার বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে মানব সম্পদেরও উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস এবং মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। ” অতীতের সফলতার ধারাবাহিকতায় অতি দ্রুত প্রকল্পের অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রামের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ানস অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিএপিপিডি) এর আওতায় সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে মাতৃ মৃত্যুরোধ ও নিরাপদ প্রসব নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ রোধ ও যুব উন্নয়নবিষয়ক তিনটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের ন্যায় দ্বিতীয় পর্যায়েও সাব কমিটিগুলো কাজ শুরু করেছে।