এশিয়ার জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

0
pm

pm

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এশিয়ার ভবিষ্যতের প্রধান চাবিকাঠি হচ্ছে শান্তি ও স্থিতিশীলতা। তিনি এ অঞ্চলের অধিকতর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য এশিয়াকে আরও শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল অঞ্চলে পরিণত করতে সেতুবন্ধ ও যোগাযোগ গড়ে তুলতে এশীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, স্থিতিশীলতার মধ্যেই এশিয়ার ভবিষ্যৎ নিহিত। এ জন্য আমাদের আন্তসম্পর্ক ও যোগাযোগ এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের মতবিনিময় ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের প্রয়োজন রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে লন্ডনে গিল্ড হলে ‘এশিয়ান লিডারস রাউন্ড টেবিল: ক্যান এশিয়ান কিপ গ্রোয়িং’ শীর্ষক কমনওয়েলথ বাণিজ্য ফোরামের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণের সময় এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সীমান্তের মধ্যকার সমৃদ্ধি ও সমতা প্রবৃদ্ধি বয়ে আনবে এবং সম্মিলিত বিকাশের মাধ্যমে আমরা শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অঞ্চল গড়ে তুলতে পারি।’

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হুগো সুইরি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং এর সঞ্চালক ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সিইও জেরিন দারুওয়ালা। তিনি বলেন, এশিয়ার দেশগুলোকে প্রবৃদ্ধিতে কেবল অভ্যন্তরীণ নয়, বরং এশিয়ার অঞ্চলব্যাপী আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল জনশক্তি, সবচেয়ে বড় বাজার এবং প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই এশিয়ার আয়ত্তে ছিল বিগত দিনের বিশ্ব এবং আগামী বিশ্বও তাকিয়ে আছে এশিয়ার দিকে। তিনি বলেন, গর্বের বিষয় হচ্ছে যে এশিয়ার মানুষ সহিষ্ণু, কঠোর পরিশ্রমী, সামর্থ্যবান, প্রতিভাবান ও আশাবাদী।

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ৭০ বছরে এশিয়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। অনেক অর্থনীতিবিদ ও বিজ্ঞজন এশিয়ার এই সাফল্যকে বিস্ময়কর হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি এ কথাও বলেন, সত্যিকার এশিয়ার চেতনার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সচেতন থাকতে হবে। কারণ, বিশ্ব এখন দ্রুত বদলাচ্ছে। ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষকে নিকটতর করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি বৈষম্যও সৃষ্টি করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার হুমকি হিসেবে সন্ত্রাসবাদ, সংঘাত, আর্থিক অভিঘাত ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জের সঙ্গে এ অঞ্চলের অগ্রযাত্রার পথে আরও অনেক বাধা-বিপত্তি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা এশিয়ার প্রতিভা বিকাশে তরুণ, নারী ও সর্বোপরি নাগরিকদের ওপর আরও বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল, গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি চালিত আগামী দিনের এশিয়ার জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *