গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার

0
0320

দেশের গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার -বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘স্বপ্নের সারথি শাহ আলমগীর’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিতর্কের ভিত্তিতে সমাজের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বিতর্ক ভিত্তিক সমাজ গঠনে অপরিহার্য। এ বিষয়ে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারি।দেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ লাভ করেছে। কিন্তু সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতা সংবাদের গুণগত মান কমেছে। এই প্রতিযোগিতার জন্য অনেক সময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সম্ভব হয়ে উঠে না। অনেক সময় ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয়ে থাকে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে এখন সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতা চলে। সেটি করতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক সময় সংবাদের গুণগতমান নষ্ট হয়। বিশেষ করে অনলাইনগুলোর ক্ষেত্রে সেটি হয়। অনলাইনগুলোকে সবার আগেই সংবাদটা পরিবেশন করতে হয়। কার আগে কে দিল সেটি নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা আছে। এটি করতে গিয়ে দেখা যায় যে, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ অনেক সময় হয় না। অনেক সময় ভুল সংবাদ হয়, অসত্য সংবাদ হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইনগুলোর বিষয়ে কিছু সংখ্যকের তদন্ত রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা পেয়েছি। একটি সংস্থা থেকে এক হাজারের বেশি পেয়েছি আরেকটি সংস্থা থেকে একশ’র কম পেয়েছি। শুধুমাত্র একটি সংস্থার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে দেয়া যায় না, আরেকটু অপেক্ষা করছি। প্রতিষ্ঠিত অনলাইনগুলোকে প্রথম ধাপেই দিতে চাই। সেজন্য তাদের রিপোর্টটাও যাতে আসে সেজন্য অপেক্ষা করছি। খুব সহসা ১৭ মার্চের পর থেকে আমরা দেয়ার চেষ্টা করবো, নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, চেষ্টা করবো। রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসলে তখন এখানে অনেক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী রির্পোটের প্রশংসা করে ড. হাছান বলেন, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে, মন্ত্রী হিসেবে নয়, কিছু গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের অনেক অনুসন্ধানী রিপোর্ট সমাজকে উপকৃত করে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। একজন সাংবাদিক, একটি সংবাদপত্র, একটি গণমাধ্যম অব্যক্তদের পক্ষে কথা ব্যক্ত করতে পারে, ভাষাহীনকে ভাষা দিতে পারে, ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করতে পারে, এটি অনেক সাংবাদিক করেন। একজন নিঃস্ব মানুষ, যার দুঃখের কথা, যার জীবন সংগ্রামের কথা সে কাউকে বলতে পারে না, কিন্তু গণমাধ্যম তার কথাগুলো সর্বসাধরণের কাছে নিয়ে যেতে পারে এবং সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *