ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী নীতির বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত

0
0a931dfc3ec12eda9105c140dad2be01-589003ab3f264

0a931dfc3ec12eda9105c140dad2be01-589003ab3f264

দিনবদল ডেক্স: নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে জারিকৃত অভিবাসননীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশ্বাসঘাতকের আখ্যা পেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল। হো্য়াইট হাউস জানিয়েছে, বিশ্বাসঘাতকতা করায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে বরখাস্ত করেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর খবর থেকে এসব কথা জানা গেছে।

শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে তিন মাসের জন্য ৭ মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে স্থগিতাদেশ দেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি শরণার্থী কর্মসূচি চার মাসের জন্য স্থগিত করেন তিনি। প্রশাসনের শরণার্থী সীমিতকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন নবনির্বাচিত এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মুসলিমদের বদলে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়।

উল্লেখ্য ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটসকে বারাক ওবামার সময়কালে নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিবাসন-সংক্রান্ত ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ বলবৎ না করতে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের আদেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেজন্য তাকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল তার দপ্তরের সাথে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন।

এর আগে এক চিঠিতে ইয়েটস বলেছিলেন, অভিবাসন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আদেশ জারী করেছিলেন সেটি আইনসঙ্গত নয়। তিনি বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি, ততক্ষণ পর্যন্ত জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের পক্ষে কোন যুক্তি তুলে ধরবে না ।’ হোয়াইট হাউজ বলছে , এ ধরনের অবস্থানের মাধ্যমে মিস ইয়েটস তার অফিসের সাথে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন।

নির্বাহী আদেশের প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয় মুসলমানরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। সংস্কৃতি কর্মীরা এর প্রতিবাদ জানান। নোবেল বিজয়ী শিক্ষা অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞাকে মুসলিমবিরোধী নিষেধাজ্ঞা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *