ডিএমপি’র ২০ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাজধানীর পশুর হাটকে ঘিরে

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে করোনাকালের এবারের ঈদে রাজধানীর পশুর হাট নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। করোনা সংক্রমণের হার যাতে বাড়ে না যজা, সে জন্য এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন দিনবদল নিউজকে এসব তথ্য জানান।
এর আগে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে ২০ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে পশুর হাটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, কোরবানির হাটের জন্য স্বাস্থ্যবিধি, কাঁচা চামড়া পাচার রোধ ও ক্রয়-বিক্রয়কালে ব্যবস্থা, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ঈদ-পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যেসব উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে :
১. কোরবানির পশুর হাটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা।
২. পশুর হাটকেন্দ্রিক সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩. প্রতিটি পশুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন।
৪. প্রতিটি পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন।
৫. পশুর হাটকেন্দ্রিক মানি এসকর্ট ব্যবস্থা।
৬. কন্ট্রোল রুম ও প্রতিটি থানায় মানি এসকর্ট টিম স্ট্যান্ডবাই।
৭. কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন।
৮. পশুর হাটের চৌহদ্দির বাইরে হাট বসতে দেওয়া হবে না।
৯. বলপূর্বক পশুবাহী ট্রাক/ নৌকা আটকে অন্য হাটে নামানো যাবে না।
১০. নির্ধারিত হারে হাসিল আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
১১. হাসিলের হার বড় ব্যানার/ ফেস্টুনের মাধ্যমে দৃশ্যমান রাখতে হবে।
১২. জাল টাকার বিস্তার রোধ ও পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার ও অন্য অপরাধীদের তৎপরতা বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা।
১৩. পশুর বিক্রয়লব্ধ টাকা ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর থাকবে।
১৪. অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম ও ওয়াচ টাওয়ারে জনসচেতনতামূলক ব্যানার স্থাপন।
১৫. পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপন।
১৬. করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনভিত্তিক বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে পশু বিক্রির জন্য উৎসাহিত করা।
১৭. সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম ও ভেটেরিনারি অফিসার (পশুর ডাক্তার) নিয়োজিত করা।
১৮. হাট এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
১৯. পশুর হাটকেন্দ্রিক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এবং ফায়ার টেন্ডার মোতায়েন রাখা।
২০. ইজারাদারদের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে নির্ধারিত তারিখের আগে হাটে পশু না আনা, চৌহদ্দি বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা, চৌহদ্দির বাইরে হাট না বসানো, পশু বহনকারী ট্রাকের সামনে হাটের নাম ব্যানারে লিখে রাখা, এক হাটের পশু অন্য হাটে না নামানো, নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করা, হাট এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা, জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ নিয়োগ করা, টাকা পরিবহনে পুলিশের মানি এসকর্ট সেবা গ্রহণ করা, হাটের মধ্যে স্থায়ী খাবারের দোকান স্থাপন করা এবং কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি সম্পর্কে সচেতন করতে লিফলেট দেওয়া ও মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা।