তৃণমূল আওয়ামীলীগ ও দলীয় মনোনয়ন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুরু হওয়ার বেশ আগে থেকেই কেন্দ্রীয় শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলতে থাকেন দলের তৃণমূলের নেতা কর্মিদের মতামতের ভিত্তিতে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে। এ নির্দেশনাকে সামনে রেখেই দলের ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা কমিটির মাধ্যমে হাঁক ডাক করে এ প্রক্রিয়া করাও হয়ে থাকে। তাতে অনেক সময় তৃণমূলের নেতা কর্মিরা আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তা করেও থাকে। অনেক সময় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তা করতে অপারগ হলে ব্যালটের মাধ্যমে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে থাকে এবং পরিশেষে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিমত প্রেরণ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হলেও বাস্তবে অনেক সময়ই দেখা গেছে কেন্দ্র তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তের ধারে কাছেও নাই। অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় কেন্দ্রের পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে শুধুমাত্র কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা তৃণমূলের নেতাকর্মীদিগকে জানিয়ে দেয়া হয়।
নির্দেশ নামায় বলা হয়ে থাকে, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যদি কেহ নির্দেশ নামা অমান্য করে তবে তার বিরুদ্ধে দলের শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কারসহ দলের প্রাথমিক সদস্যের পদ থেকেও বাদ দেয়া হবে। এই প্রক্রিয়াকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করে। অনেক সময় একই দলের মধ্যে থেকে নির্বাচনে প্রার্থী দাঁড় করাতে কুন্ঠাবোধ করেন না। যে কারণে দলের এ ধরণের নির্বাচনের প্রার্থীকে দলের ভিতর বিদ্রোহী প্রার্থী বা স্ববিরোধী প্রার্থী হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এমনও দেখা যায়, নির্বাচনের অল্প দিন আগেও প্রার্থী পরিবর্তন করে নতুন প্রার্থী চাপিয়ে দেয়া হয়ে থাকে। অনেকেই এ পন্থাকে অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কালচার বলেও আখ্যায়িত করে থাকে। তাই কেন্দ্র নির্ভর সাংসদরা তৃনমূল নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন না করে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিকট দৌড়ঝাপ করে থাকে।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় নেতারা সার্বিকদিক বিবেচনা করে এ ধরনের কালচার থেকে বেরিয়ে এসে তৃনমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনীত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি ।
জয়বাংলা-জয়বঙ্গবন্ধু।
লেখক: বাবুল হোসেন খান
সভাপতি,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
শাহজাহানপুর ইউনিয়ন শাখা
মাধবপুর, হবিগঞ্জ, সিলেট ।