দলের প্রয়োজন হলে অবশ্যই বল হাতে সাপোর্ট দিবো

0
soumy

soumy

একসাথেই দু’জনই ওপেনিং করেন বাংলাদেশ দলের হয়ে। যদিও দু’জনের জুটিটা খুব বেশি পুরনো দিনের নয়। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে। দু’জনের মধ্যে অভিজ্ঞতার বিস্তর ফারাক। তামিম ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিনিয়র ক্রিকেটার। জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন ১০ বছরেরও বেশি সময়। সৌম্য সরকার তো জাতীয় দলে এলেন দুই বছর হলো মাত্র।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রচুর সম্ভাবনা নিয়ে অভিষেক ঘটে সৌম্য সরকারের। তার অভিষেকের পর ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল নিজেকে নিয়ে গেছেন আরও অনেক উচ্চতায়। সে তুলনায় অমিত সম্ভাবনা থাকলেও সৌম্যর ভাল সময় যেন ধরাই দিচ্ছেন না। ধুমকেতুর মত উদয়। অসাধারণ ব্যাটিং আর দৃষ্টিনন্দন শেট খেলতে পারেন ভয়-ডরহীন। অথচ তিনিই কি না বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছেন ফর্মহীনতায়। নিজের ফর্ম ফিরে পেতে চেষ্টার করছেন না বাঁ-হাতি এ ওপেনার।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় পূর্ণাঙ্গ সিরিজের উদ্দেশ্যে জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে সৌম্য তাই কাজ করছেন নিজের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য। ফর্ম ফিরে পেতে যেমন কাজ করছেন, তেমনি নিয়মিত অনুসরণ করছেন সতীর্থ তামিম ইকবালকেও। তার সঙ্গে থেকেই কিভাবে তামিম দিনের পর দিন পরিপক্ক ইনিংস খেলছেন- সেটাও বেশ ভালোভাবে লক্ষ্য করছেন সৌম্য।

আজ (সোমবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) লাউঞ্জে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সৌম্য বলেন, ওনার (তামিম) কাছ থেকে আমি নিয়মিতই শিখি। মাঠে যখন তার সাথে খেলি তখনও আমি দেখি যে তিনি কিভাবে খেলছেন।

এ সময় সৌম্য তার ফর্ম ফিরে পাবার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি আমার সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করছি। আশা করি ভাল কিছু করতে পারবো।’

শুধু ব্যাটিংই নয়, মিডিয়াম পেস বোলিংও করতে পারেন সৌম্য। দলের প্রয়োজনে তার হাতেও মাঝে-মধ্যে বল তুলে দেন অধিনায়ক। তবে সেটা নিতান্তই নগন্য। সৌম্য চাইলে নিজেকে একজন ভালো অলরাউন্ডার হিসেবেও গড়ে তুলতে পারেন। আগামী দিনে বোলা সৌম্যকে দেখা যাবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নেটে নিয়মিত বোলিং প্র্যাকটিস করি। দলের প্রয়োজন হলে অবশ্যই বল হাতে সাপোর্ট দিবো।’

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *