দাবি আদায়ে অনশনে গ্রামীণফোনের শ্রমিক-কর্মচারীরা
এ বি সাইদঃ আজ ৯ মার্চ ৪ দফা দাবিতে অনশন করেন দেশের বৃহত্তম মোবাইল সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান গ্রামীনফোনের নির্যাতিত ও সুভিদাবঞ্ছিত শ্রমিক-কর্মচারীরা। এইসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর ৪ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রেয়ন করা হয় গ্রামীনফোন শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ হইতে।
কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি,লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হিসাবে ৩০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের মাঝে বণ্টনসহ চার দফা দাবিতে বেসরকারি অপারেটর গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় ‘জিপি হাউস’ অবরোধসহ তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ এই অনশন কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। বিগত দিনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আজকের এই অনশনে গ্রামীণফোনের শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী অংশ নেন। আন্দোলনকারীদের মতে ভুক্তভোগী প্রায় সাতশ’ শ্রমিক কর্মচারীরা গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদে চাকরি করে আসছেন। এ প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তা শ্রম আইন অনুসরণ না করে শ্রমিকদের ওপর অমানবিক অনশনে, নিপীড়নসহ চাকরিচ্যুত করে আসছে। তারা সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের দেয়া সিদ্ধান্তও মানছে না। তাই বাধ্য হয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের ভাষ্যমতে, দাবি আদায়ে বারবার ধরনা দিয়েও লাভ হয়নি, তাই কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হচ্ছে তারা এছারা সর্বশেষ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধি, বিনা নোটিশে বন্ধ করা সব শ্রমিকের ডিউটি চালুর ব্যবস্থা, ওয়্যার হাউসের ৩৮ জন শ্রমিকের ২ মাস ৮ দিনের বকেয়া বেতন প্রদান এবং গ্রামীণফোনের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ টাকা শ্রমিক কর্মচারীদের দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঐক্য পরিষদ নেতারা বলেন, নানাভাবে শ্রমিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এর একটি প্রমাণ হচ্ছে- ১২৬ জন কর্মচারীকে বেতন দিচ্ছে, কিন্তু ডিউটিতে দিচ্ছে না। তাদের স্থলে অন্যদের ডিউটি দেয়া হচ্ছে। এতে ওই ১২৬ জন মানসিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে আছেন। তারা চাকরি হারানোর ভয়ে আছেন।
About Post Author
