বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা : জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খান

নাসিমুল গণী:
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজম খান এর মালিকানাধীন নারগানা ইন্টারন্যাশনাল রিসোর্ট লিঃ এ সন্ত্রাসী হামলার বিচারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আজম খান।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে আজম খান বলেন, ‘হামলাকারীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাকে হত্যা করা। কিন্তু আমি আগেই কোনোভাবে খবর পেয়ে সরে যাই।’ তিনি বলেন, ‘এই হামলার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় কিছু নেশাগ্রস্থ যুবক। তারাই পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগেও একইভাবে রিসোর্টটিতে হামলা চালানো হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ এখনও কোনো ভূমিকা নেয়নি।
আজম খান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিন রাত পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দিন রাত কাজ করছেন ‘হাসিনা আপা’ । কিন্তু গুটি কয়েক লোকের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সব অর্জন নষ্ট হোক তা কারোর কাম্য নয়। তাই তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উল্লেখ্য গত ৩ আগস্ট রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টি নেতা আজম খানের মালিকানাধীন গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার নারগানা গ্রামে নারগানা রিসোর্টে বর্বরোচিত নারকীয় হামলা করা হয়। হামলাকারীরা রিসোর্টে ব্যাপক ভাংচুর এবং লুটপাট শেষে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রায় দের বছর ধরে বাশ,কাঠের সমন্বয়ে তিল তিল করে গড়ে তোলা একটি শৈল্পিক শিল্পনিদর্শন সম্বলিত বাড়ি ও মূল্যবান সম্পদ। কেটে ফেলা হয়েছে পাঁচ হাজারের অধিক বিভিন্ন দেশি বিদেশি গাছের চাড়া, কেটে ফেলা হয়েছে দেশি বিদেশী বড় গাছ, হত্যা করা হয়েছে রিসোর্টের কুকুর ও বিরল প্রজাতির কিছু কবুতর। ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয় বিভিন্ন আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতিদিনের মতো সেদিনও সারা দিন রিসোর্টটিতে বিভিন্ন লোকজন ছিল। সবাই চলে গেলে রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করেই ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেলে করে লোকজন আসেন। এরপর রিসোর্টটির মুল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশে করেই শুরু করেন ভাঙচুর। প্রথমে রিসোর্টের ভেতরে থাকা বিশ্রামগারে প্রবেশে করে বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করেন। পরে আশপাশের ঘর ও অন্যান্য জায়গায় থাকা জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। এরই একপর্যায়ে বাঁশের তৈরি একটি বিশেষ শৈল্পিক শিল্প নিদর্শন সম্বলিত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গাছপালা ও চারাগাছ নষ্ট করে ফেলেন।
রিসোর্টের ম্যানেজার মো. সোহেল খন্দকার বলেন, ‘হামলাকারীরা ভেতরে ঢুকেই আমাকে আঘাত করে। পরে আমি সরে গেলে সবকিছু ভেঙে তছনছ করে ফেলে।’তাঁর দাবি, হামলায় অংশ নেন ৮০ জনের বেশি। এতে কয়েক হাজার চারাগাছ নষ্ট করাসহ বিভিন্ন জিনিস, আসবাব ভাঙচুর করে। হামলায় তাঁদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।