বেক্সিমকোর রেমডেসিভির ওষুধে আশা দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
download (8)

দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বেক্সিমকো উৎপাদিত ওষুধ রেমডেসিভির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের সুস্থ করে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও কোনো দেশে করোনা রোগীদের শতভাগ সুস্থ করে তোলার মতো ভ্যাকসিন বা ওষুধ উৎপাদন হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে রেমডেসিভির ওষুধটি কার্যকর হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য এটির অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। ওষুধ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে করোনাভাইরাস রোগীদের এই ওষুধে চিকিৎসা প্রদান করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো উৎপাদিত ওষুধের শুভ উদ্বোধন এবং হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন বাড়লেও তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও পরামর্শে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এখনও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তুলনামূলকভাবে সফল হয়েছে।’

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। তাদের সুচিকিৎসার জন্য নমুনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি, ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। (দৈনিক) নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১০ হাজার অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে বসে না থেকে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। হাসপাতালে যেসব রোগী মারা গেছে তাদের অনেকেই বিলম্বে হাসপাতালে এসেছেন।

করোনাভাইরাসের এখনও শতভাগ কার্যকর ওষুধ বা ভ্যাকসিন উৎপাদন হয়নি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরে অবস্থান করা, প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি সাবধানতা অবলম্বন করলে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘করোনার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও লোকজন রিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন ও ফেরিতে ভিড় করে ঝুঁকি নিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে যাওয়াটা ঈদের সব আনন্দকে নিরানন্দ করে দিতে পারে সেটা ভাবছেন না।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন মার্কেটে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, মায়েরা শিশুদের নিয়ে কাপড়-চোপড় কিনতে যাচ্ছেন। এর ফলে শুধু মা-ই নয়, শিশুদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তিনি মায়েদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *