মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরের জনপদ: জেঁকে বসেছে শীত

0
could

could

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরের জনপদ। জেঁকে বসেছে শীত। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটিই এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস।

এদিকে ভোর থেকেই রাজশাহী অঞ্চলে পড়ছে ঘন কুয়াশা। কমছে দৃষ্টিসীমা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হিমালয় ছুঁয়ে আসা হিমশীতল হাওয়া। ফলে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষগুলোর দুর্ভোগের অন্ত নেই।

সকালে পথের ধারে খড়কুটায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে ছিন্নমূল মানুষদের।

নিম্নআয়ের মানুষের শীত নিবারণের জন্য কমদামে শীতবস্ত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন নগরীর বিভিন্ন ফুটপাতে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকানগুলোয়।

সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন শীতার্তরা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, শীতজনিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

তাদের অনেকেই ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আনোয়ারা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটিই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তপমাত্রা। এর পর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে আসায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

রাজশাহীতে সপ্তাহজুড়েই তাপমাত্রা কমছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পর দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, জানুয়ারিতে রাজশাহী অঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতেও বয়ে যেতে পারে এক থেকে দুটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

তাপমাত্রা সাধারণত ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে মৃদু, ৮ ডিগ্রির নিচে নামলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *