রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশমুখে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা

রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশমুখে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। সব ধরনের যানবাহন থামিয়ে করা তল্লাশি করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর গাবতলীতে সরেজমিন দেখা যায়, পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসেছে। গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিএনজি এমনকি বাস থামিয়েও তল্লাশি করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি তল্লাশির মুখে পড়ছেন মোটরসাইকেলের চালক-আরোহীরা। তাদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষার পাশাপাশি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে।
বাসে তল্লাশি কেন জানতে চাইলে তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বরত দারুসসালাম থানার এসআই মাহবুব প্রতিবেদককে জানান, এটা রুটিন ডিউটির অংশ। আর কিছু নয়। শুধু নজরদারি রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ আছে এখানে। তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে এক পাশে অবস্থান করতে দেখা যায়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কেউ যাতে বাইরে থেকে রাজধানীতে ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে এজন্য মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব।
ইতোমধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়ের দিন ঢাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে বা বসে কোনও ধরনের মিছিল করা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সব ধরনের ছড়ি বা লাঠি, ছুরি, চাকু বা ধারালো অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
এর আগে খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যেকোনও মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে দেশের সব রেঞ্জ ডিআইজি ও কমিশনারকে নির্দেশ দেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় পুলিশ সদর দফতর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ নির্দেশ দেন।