সন্দেহজনকভাবে চলাফেরার অভিযোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চীন-ব্রিটেনের ৫ নাগরিক আটক, পরে মুক্ত

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্দেহজনকভাবে চলাফেরার অভিযোগে পাঁচ বিদেশিসহ ২৬ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। আটক বিদেশিদের মধ্যে একজন চীন ও চারজন ব্রিটেনের নাগরিক। আটকের পর তাদের কাছে থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ২১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা। সোমবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লম্বা শিয়া ও ক্যাম্পের ডি-৪ এলাকায় এ অভিযান চলে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খালেদ মাহমুদ।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশি নাগরিকদের ঘোরাঘুরি তথ্য পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ নিয়ে ক্যাম্পে যাওয়া হয়। পরে সেখানে গিয়ে তাদের দেখতে পাই।
তিনি বলেন, রাতে রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থানের বিষয়ে তাদের কাছে পররাষ্ট্র কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও কোনো অনুমতি না থাকায় এবং জেলা প্রশাসনকে অবগত না করায় প্রথমে তাদের প্রশাসনের হেফাজতে আনা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এডিএম খালেদ বলেন, বিদেশিদের মধ্যে একজন চীন, বাকিরা ব্রিটিশ নাগরিক।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, রাতে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই রোহিঙ্গা শিবিরে দেশি-বিদেশি সন্দেহভাজন লোকজন অবস্থান করে। বিশেষ উদ্দেশ্যে এসব ব্যক্তি শিবিরে অবস্থান নেয়ার গোপন সংবাদ ছিল আমাদের কাছে। তাই অভিযান চালানো হয় এবং অভিযানও সফল হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, দেশি-বিদেশি কিছু লোক রোহিঙ্গা ইস্যু কেন্দ্র করে দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তাই বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পে রাতে সব প্রকার লোকজনের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।
পুলিশের উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা রাতে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে রোহিঙ্গা শিবিরে বাইরের কোনো লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দুই মাস ধরেই মাইকিং করে জানানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর পরও যারা নিষেধ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে। অপকর্ম করার চেষ্টা করলেই কেউ রেহাই পাবে না