সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এন্ড্রু কিশোর

0
image-93675-1572809687

দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে হেরে গেলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি নিজের ইচ্ছায় দেশে ফিরতে চেয়েছেন। বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশে গিয়ে মরতে চাই, এখানে নয়।’ ১১ জুন বিকেলে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরেন তাঁরা। ফিরে যান রাজশাহীতে, যেখান থেকে শুরু। নিজের শহর রাজশাহীর মহিষবাথান এলাকায় বোনের বাড়িতে শেষ হলো তাঁর জীবনের গল্প, পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

শরীরে নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামের ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানে কয়েক মাস একনাগাড়ে তাঁর চিকিৎসা চলে। সব চেষ্টার ব্যর্থ করে আজ চিরতরে বিদায় নেন তিনি।

অবশ্য মাঝে চিকিৎসায় কিছু সাড়া মেলে। এ বছরের এপ্রিলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, এখন আর দরকার নেই, শুধু ওষুধ খেতে হবে। দেশে ফিরে যেতে পারবেন এন্ড্রু কিশোর। তাঁর স্ত্রী জানান, মে মাসের ১৩ তারিখ দেশে ফেরার টিকিট কেনা হয়েছিল। কিন্তু এন্ড্রু কিশোর শারীরিকভাবে ভীষণ দুর্বল বোধ করছিলেন। তাই বাতিল করা হলো টিকিট। চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই দুর্বলতা কেমোর ধকল। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। চিকিৎসক আশ্বস্ত করায় ১০ জুন ফেরার টিকিট কেনা হয়েছিল। কিন্তু ২ জুন হঠাৎ আবার অসুস্থ হয়ে যান শিল্পী। পরদিন রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৪ জুন। কোনো ওষুধই আর কাজ করছিল না শরীরে। পিইটি স্ক্যান হয় ৯ জুন। সে রিপোর্টে দেখা গেল লিম্ফোমা ভাইরাস ডান দিকের লিভার ও স্পাইনালে ছড়িয়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গাতেও অল্প অল্প দেখা যাচ্ছে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিলেন, আর কিছুই করার নেই।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *