সরকার হাওরবাসীর জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি: অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ভাসমান পানিতে মাছ ধরার অবাধ অধিকারের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। ‘হাওরের পাশে বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ বছরের বোরো মৌসুমে অকাল বন্যায় হাওর এলাকার ধান ডুবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে বাঁচিয়ে রাখতে দাবি উঠেছিল। আগামী বোরো মৌসুমে ধান কাটার পূর্ব পর্যন্ত পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে। সকল প্রকার ঋণের সুদ মওকুফ করতে হবে, ভাসমান পানিতে মাছ ধরার অবাধ অধিকার দিতে হবে, জলমহালের ইজারা প্রথা বাতিল করতে হবে। এ সব পদক্ষেপ না নিলে কৃষক বাঁচবে না। সরকারের পক্ষ থেকে এর জন্য যথাযথ উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, সরকার দায়সারা গোছের কিছু উদ্যোগ নিয়েছে যার মধ্য দিয়ে প্রকৃত সমস্যার সমাধান আসেনি। তাই আমাদের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি এর কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
অন্যান্য নেতারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আজকে মহা-সংকটে দিনাতিপাত করছে। তাদের হাতে কোনো খাদ্য নেই। বাজারে চালের মূল্য কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা জনগণকে নয় ব্যবসায়ীও চাতাল মালিকের স্বার্থ রক্ষা করে চলছে। খোলা বাজারে সরকারের উদ্যোগে যে চাল বিক্রি করছে তার দামও দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে কৃষক-শ্রমিক চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী মো. এনামুল হক, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, হাওরের পাশে বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ড. হালিম দাদ খান, জাকিয়া শিশির, জাকির হোসেন।
সভা পরিচালনা করেন বাসদ ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব জুলফিকার আলী।