সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস রাজশাহীতে

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও হিমেল হাওয়ার দাপটে টানা কয়েকদিনের শীতে দেশের উত্তরাঞ্চলের অবস্থা সব থেকে ভয়াবহ। সোমবার সকাল ৯টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এইটি। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম এ তথ্য জানান।
ঘন কুয়াশা আর দিনভর হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে রাজশাহীবাসী। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নগরজীবনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে হাড় কাঁপানো শীত। ভোরে সূর্য উঠলেও তা ঘন কুয়াশার চাদর ভেদ করতে পারছেন না। দুপুরের দিকে রোদের দেখা মিললেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না।
হাড় কাঁপানো এই শীতে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে আছে ছিন্নমূলের মানুষগুলো। পথের ধারে খড়কুটো জ্বালিয়ে তারা শীতের কামড় থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম আরও জানান, সোমবার সকাল ৯টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা । এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর শুক্রবার সামান্য বেড়ে তাপমাত্রা দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু শনিবার থেকে তা আরও কমে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নেয়। আগামী কয়েকদিন দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা ।
এদিকে তীব্র শীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফ হোসেন জানান, শীত যতই বাড়ছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি এবং বেশিরভাগ ঠাণ্ডা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এছাড়া অনেকেই শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, এ সময় শিশুদের উষ্ণ পরিবেশে রাখা, কুসুম গরম পানি পান করানো, উষ্ণ পানি ছাড়া বয়স্কদের গোসল না করা, গরম কাপড় ছাড়া বাইরে বের না হওয়া, অ্যাজমা রোগীদের সঙ্গে ইনহেলার রাখা এবং হৃদরোগীদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন।