২১ ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে কোনো রকম নাশকতার পরিকল্পনা কেউ করতে পারবে না

0
kamal

kamal

২১ ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে কোনো রকম নাশকতার পরিকল্পনা কেউ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার সচিবালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদকিদেরতিনি এ কথা জানান।

একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনে নিরাপত্তার জন্য নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ব্যাপক নিরাপত্তার আওতায় আনা হবে। শহীদ মিনার এলাকা, নীলক্ষেত, টিএসসি, শাহবাগ- আমরা সিসি টিভির আওতায় নিয়ে আসব। কয়েকটি মনিটরিং রুম মনিটরিং করার জন্য খোলা হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি কূটনৈতিকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাদা পোশাকে পুলিশ শহীদ মিনার ও বেদিতে অবস্থান করবে, যাতে শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষা হয়।

২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৭টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোন গাড়ি শহীদ মিনার এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শহীদ মিনার এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে প্রয়োজনীয় সংখ্যা সিসি ক্যামেরা, নাইট ভিশন ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করা হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শহীদ মিনার এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান থাকবে না। শহীদ মিনার এলাকায় কোনো বিজ্ঞাপন ও পোস্টার টাঙানো যাবে না।

একুশে ফেব্রুয়ারি ভীড় এড়াতে যাতায়াতের রোডম্যাপ তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে সারাদেশে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান।

শহীদ মিনার এলাকায় ২৫০ জন র‌্যাব সদস্যসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় প্রস্তুত থাকবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। কোনো রকম নাশকতার পরিকল্পনা কেউ করতে পারবে না, সেভাবেই আমরা সিকিউরিটি প্রোগ্রামটা নিয়েছি। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মহোদয় বলেছেন তারা আমাদের কীভাবে সহযোগিতা করবেন, তারা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন তাও আমাদের জানিয়েছেন।

সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *