অস্ট্রিয়া সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর খাবার ‘ট্যাগবিহীন’ ছিল না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অস্ট্রিয়া সফরকালে ফ্লাইটে দেয়া খাবার ‘ট্যাগবিহীন’ ছিল না বলে দাবি করেছে বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি)।
তবে ওই ফ্লাইটে ট্যাগবিহীন খাবার (স্যুপের ফ্ল্যাক্স) সরবরাহের ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
বুধবারও এ বিষয়ে বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে কমপক্ষে ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কারও কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিমান ক্যাটারিংয়ের কর্মকর্তারা।
এদিকে সন্দেহের তালিকায় থাকা ছয়জনের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে তাদের ব্যক্তিজীবন, রাজনৈতিক মতাদর্শ ও স্থায়ী ঠিকানায় খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
ওই ঘটনায় মঙ্গলবার বরখাস্ত হওয়া বিএফসিসি’র সহকারী ব্যবস্থাপক নূরুল মোমিন মিয়াকে বুধবার ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূ্ত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিএফসিসি’র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) জামাল উদ্দিন তালুকদার জানান, প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে খাবার সরবরাহে কোনো ধরনের গাফিলতি বা দায়িত্বে অবহেলা ছিল না। ফ্লাইটে ট্যাগবিহীন খাবার সরবরাহ করা হয়নি। ফ্লাইটে যারা খাবার গ্রহণ করেছেন তারা কোনো কারণে তাদের রেজিস্টারে এটি এন্ট্রি করেননি।
এদিকে ঘটনা তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোস্তাকিম বিল্লাহকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার বিমান এয়ারপোর্ট সার্ভিসের ডিজিএম মাকসুদুর রেজাকে প্রধান করে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়। তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে ওই কমিটিকে।
তদন্তের পরই আসল ঘটনা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দুদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিয়েনাগামী বিমানের বোয়িং ৭৭৭-এর ফ্লাইটে একটি স্যুপের ফ্ল্যাক্স নেয়া হয়। জানা গেছে, ওই ফ্ল্যাক্সে কোনো নিরাপত্তা ট্যাগ ছিল না।