আইএমএফের কিস্তির টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, বারবার বৈঠকেও ব্যর্থ !

শনিবার,
১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
২৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং,
শেখ সাজ্জাদ :
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচির আওতায় ২৩৯ কোটি ডলার পাওয়া নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আগের তিনটি কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি দুটি কিস্তিতে আরও ২৩৯ কোটি ডলার পাওয়ায় কথা রয়েছে। ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সেই অর্থ পাওয়া যায়নি।
কিস্তির টাকা পেতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন যৌথসভার দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়েছে তবুও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। ২১ এপ্রিল শুরু হওয়া ছয় দিনব্যাপী এই বৈঠক ২৬ এপ্রিল শনিবার শেষ হয়। দুই দফা বৈঠকে বাংলাদেশ ও আইএমএফের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠক উপলক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বসন্তকালীন বৈঠকের এক ফাঁকে আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত বুধবার বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের আলাদা বৈঠক হয়। প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীও আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক করেন।
দুই কিস্তির বাড়তি ঋণ পাওয়া প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মর্তুজা সাংবাদিকদের বলেন, দুই দফা বৈঠকেও বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি। তবে আইএমএফ টাকা দেবে ধরে নিয়েই কিন্তু বৈঠক হয়েছে। যে শর্তের বিষয়ে আলোচনা চলছে তা নিয়ে একমত হতে পারেনি কোনো পক্ষ।
চতুর্থ কিস্তিতে অর্থ পেতে শর্ত ছিল চারটি। সেগুলো হলো- অর্থনীতির বহিঃচাপ সামাল দিতে রাজস্ব আদায় জোরদার করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে নীতিমালার বাস্তবায়ন। এর মধ্যে বিনিময় হার ও রাজস্ব আহরণ বিষয়ে শর্ত পূরণের অগ্রগতি নিয়ে আইএমএফ সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, তাদের সঙ্গে ঐকমত্য না হলেই যে খুব একটা সমস্যা হবে বিষয়টি তাও নয়। আমরা কিন্তু খুব একটা ভঙ্গুর অবস্থায় নেই, যা হয় তা হবে, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে চলছে সেভাবে চলবে।