আওয়ামী লীগ এখন চোখেও দেখে না কানেও শোনে না :ফারুক

জাল ভোটে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা আওয়ামী লীগ নেতাদের ভুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন চোখেও দেখে না কানেও শোনে না। সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে লাভ হবে না। বিএনপি ছাড়া আগামী নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। সুতরাং আওয়ামী লীগ এখন বয়রা ও অন্ধের দলে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাগপা আয়োজিত ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে’ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক বলেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর হামলার উদ্দেশ্য কি ছিল জনগণ তা জানে। সময় আসলে অক্ষরে অক্ষরে এর জবাব দেয়া হবে।
আলিয়া মাদরাসার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে আদালতে প্রতিনিয়ত হাজিরা দিতে হচ্ছে। দয়া করে এ খেলা বন্ধ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
তোফায়েল আহমেদকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, যখন মন্ত্রী ছিলেন না তখন জিয়া সম্পর্কে সুন্দর ও সত্য বলেছেন। মন্ত্রী হয়ে এখন জিয়াকে চিনেন না। আপনার মুখে এমন কথা বয়রা ও অন্ধের মত শোনা যায়।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি আন্দোলনের কর্মসূচি দেয় না বলে বিএনপিকে দুর্বল মনে করবেন না। দেশনেত্রীর আহ্বানে জনগণ রাস্তায় নামলে আপনারা পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। বিএনপির বিগত আন্দোলনের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের লোকেরাই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে।
ফারুক বলেন, ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার উদ্দেশ্য ছিল বেগম জিয়াকে হত্যা করে যেনতেন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং পুনরায় ক্ষমতার স্বপ্ন দেখা। তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রীর গাড়ি বহরে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জাগপার সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টির কারণ। সাহস করে সত্য বলতে হবে। খালেদা জিয়াকে টার্গেট করা হলে জালিমশাহীকে নিদারুণ পতনের আওয়াজ শুনতে হবে। তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
জাগপার সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের সভাপতিত্বে খন্দকার লুৎফর রহমানের পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আবু মোজাফফর মো. আনাছ, মাস্টার এম.এ মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, শেখ জামাল উদ্দিন, যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মোড়ল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইনসান আলম আক্কাছ, সহ প্রচার সম্পাদক মানিক সরকার, মো. আশরাফ আলী খান, মো. হালিম, হোসেন মোবারক, মো. নাসির উদ্দিন, যুব নেতা সাইদুজ্জামান কবির, আরিফুল হক তুহিন, নজরুল ইসলাম বাবলু, ইসহাক মীর, বিপুল সরকার, ছাত্রনেতা রাকিবুল ইসলাম রুবেল, মিনহাজ প্রধান রাব্বি, আমির হোসেন আমু প্রমুখ।