আজ চৈত্র সংক্রান্তি, বাংলা বছরের শেষ দিন।

চৈত্র সংক্রান্তি : অভিযাত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি:
চৈত্র সংক্রান্তি আজ অর্থাৎ বাংলা বছরের শেষ দিন । গত বছরের মতো করোনার ভয়াবহতা আর লকডাউনের ফাঁদেই শেষ হলো বাংলা বছরটি। চৈত্র থেকে বর্ষার প্রারম্ভ পর্যন্ত যখন সূর্যের প্রচ- উত্তাপ থাকে তখন তেজ প্রশমন ও বৃষ্টি লাভের আশায় কৃষিজীবী সমাজ বহু অতীতে চৈত্র সংক্রান্তির উদ্ভাবন করেছিল।
সনাতনী ধর্ম অনুযায়ী এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতিকে পুণ্যকর্ম বলে মনে করা হয়। তবে চৈত্র সংক্রান্তিতে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব হলো চড়ক। এর সঙ্গে চলে মেলা। কিন্তু করোনায় এবার তেমন কিছুই হচ্ছে না।
তারপরেও জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনাকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে গোটা জাতির। এজন্য আবহমানকাল থেকেই দিনটি পালন হয়ে আসছে। কিন্তু গত বছরের মতো এবারও করোনার কারণে মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে। তাই পুরোনো বছরকে ঘটা করে বিদায় জানানো যাচ্ছে না।
তবে ঘরে অবস্থান করেই পুরোনো বছরকে বিদায় জানাচ্ছে বাঙালি। প্রত্যাশা করছে-বুধবার শুরু হওয়া নতুন বছর যেন সব ধরনের শঙ্কা, রোগ-শোক, অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত রাখে সবাইকে। আনন্দে ভরে ওঠে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি। পুরোনো বছরের জরাজীর্ণতার সঙ্গে নিপাত যাক মহামারির ঘাতক ভাইরাস, এটাই সবার প্রত্যাশা।