আজ দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন করবে আওয়ামী লীগ

0
awamleg

awamleg

দশম সংসদ নির্বাচনের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ শুক্রবার দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন করবে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে দলের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে সমাবেশ এবং বিজয় শোভাযাত্রা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল ৩টায় রাজধানীর বনানী পূজা মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এবং ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সমাবেশ শেষে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হবে। দুই সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যোগ দেবেন।

দিনটি উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের খ চিত্র প্রকাশ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও তার মিত্র জোটসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বর্জনের মুখে ওই নির্বাচন সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় অনিবার্য ছিল বলে মনে করেন তারা। এ কারণেই ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র ও সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার দিন হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।

বিএনপি গত তিন বছর ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে রাজপথে কর্মসূচি দিয়ে সংঘাতমুখর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। ২০১৫ সালে সরকার পতন আন্দোলনের নামে টানা তিন মাস ধরে সারাদেশে ব্যাপক সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে তারা। অসংখ্য মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করায় দেশজুড়ে জনমনে ব্যাপক আতঙ্কও ছিল। পরের বছর রাজধানীতে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বিএনপি। যদিও শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে দু’পক্ষের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ায় জনমনে স্বস্তি আসে। আর গত বছর ৭ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

এবারও বিএনপি সারাদেশে কালো পতাকা মিছিল ও রাজধানীতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না পেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় দলটি। তারা ৫ জানুয়ারি সারাদেশে ‘কালো দিবস’ পালন করবে। তবে এ দিন বিএনপি যাতে কোনো রকম সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে- সে জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হবে।

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশ দুটিকে অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের প্রচেষ্টা রয়েছে দলের মধ্যে। রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকেও সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার পদক্ষেপও রয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকার দুই অংশের সরকারদলীয় এমপিদের নিজ নিজ এলাকার সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মহানগর নেতাদের প্রতিও একই রকম নির্দেশনা রয়েছে।

এই দুটি সমাবেশের পর আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও ১২ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষেও বড় ধরনের কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের। সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১২ জানুয়ারি উন্নয়নের খণ্ডচিত্র প্রকাশ ও ১৪ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের টানা দুই মেয়াদের নয় বছরের উন্নয়নের তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হবে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *