আনন্দ শোভাযাত্রায় সর্বস্তরের জনতার ঢল

সোহরাওয়ার্দীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশিষ্টজনরা বক্তব্য দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিচালনায় ‘ধন্য মুজিব ধন্য’ সঙ্গীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘স্বাধীনতা- এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ পরিবেশন আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়। রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং নজরুলসঙ্গীতের কোলাজ ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ এবং ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ এর সঙ্গে দীপা খন্দকারের পরিবেশনায় দলগত নৃত্য পরিবেশিত হয়। আওয়ামী লীগ নেতা আহকাম উল্লাহ কামাল চৌধুরীর কবিতা ‘মার্চ’ থেকে আবৃত্তি করে শোনান। অনিক বোসের পরিচালনায় ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের’ এবং ‘মুজিবর আছে বাংলার ঘরে ঘরে’সহ কয়েকটি গানের কোলাজের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনা। জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো- দিয়ে পরিবেশনা শুরু করেন বরেণ্য শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। এরপর তিনি গেয়ে ওঠেন ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’। ‘নাও ছাড়িয়া দে’ সঙ্গীতের মূর্ছনায় নৌকাকে প্রতিপাদ্য করে শামীম আরা নীপা এবং শিবলী মোহাম্মদের পরিবেশনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশনা।
বেলা ৩টার কিছু আগে মুহুর্মুহু করতালি আর গগনবিদারী স্লোগানের মধ্য দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বেলা ৩টায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। তবে দুপুরের আগ থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
এর আগে ধানমণ্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির এ উদযাপন শুরু হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শুরু হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সামনে ছিল হাতি আর ঘোড়ার গাড়ি, এরপর ট্রাক। এরপর একে একে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
ব্যানার-ফেস্টুনের লেখা ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের বিভিন্ন অংশ। কারও মাথায় থাকা লাল-সবুজ রঙের টুপিতেও ছিল ভাষণের অংশ।
ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব শোভাযাত্রার অনেককেই রমনা উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও ভিড় করতে দেখা যায়। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমির সামনে কয়েকশ’ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে শোভাযাত্রার অংশ নিতে দেখা যায়।
আনন্দ শোভাযাত্রাসহ পুরো অনুষ্ঠানকে সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কমতি ছিল না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিক থেকে। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ‘সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল।