আমি যেভাবে ব্যবসা করছি, সারা বাংলাদেশে সেভাবে ব্যবসা চলছে

0
Dildarapan20170517195105

Dildarapan20170517195105

দিনবদল ডেক্স: জুয়েলারি ব্যবসার নীতিমালা না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তরুণী ধর্ষণে অভিযুক্ত সাফাতের বাবা আপন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী দিলদার আহমেদ বলেছেন, ‘আমি যেভাবে ব্যবসা করছি, সারা বাংলাদেশে সেভাবে ব্যবসা চলছে। এরপরও যদি আমার স্বর্ণের দোকান বন্ধ করা হয় তবে সারাদেশের সকল দোকান বন্ধ করে দিতে হবে।’

বুধবার শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দিলদার আহমেদ বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে কোনো স্বর্ণ আমদানি নেই। একটা ব্যবসা চললে তার নীতিমালা থাকা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা কোনো নীতিমালা করতে পারিনি।’

বনানীর ধর্ষণে অভিযুক্ত ছেলের পক্ষে নানা সময় বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত এই জুয়েলারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘৪০ বছর ধরে সততার সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। কোনো অবৈধ জিনিস (স্বর্ণ-হীরা) আমাদের দোকানে নাই। তবে শুল্ক গোয়েন্দারা দোকান সার্চ করে স্বর্ণ ও ডায়মন্ড জব্দ করেছে। আমরা পেপার্স শো করব।’

সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের বৈধ ব্যবসা। আমাকে যদি ডার্টি মানি ও স্বর্ণ চোরাচালানের জন্য গ্রেফতার করা হয়, তাহলে কোনো স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাইরে থাকবে না। সবাইকে জেলে যেতে হবে।’

অভিযানে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে কেউ কী আর কাগজপত্র দেখাতে পারে? সময় চেয়েছি, পেপার্স শো করব।’

সম্প্রতি বনানীর হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে দিলদার আহমেদের ছেলে সিফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এরপর ছেলের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন আপন জুয়েলার্সের এই স্বত্বাধিকারী।

এ ঘটনার পর গত ১৪ মে রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের সব ক’টি শাখায় অভিযান চালায় শু্ল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এ সময় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরার অলঙ্কার জব্দ করা হয়।

তবে ওই সময় এসব অলঙ্কারের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ।

আর এসব অলঙ্কার জব্দের দু’দিন পর দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের ডেকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *