আসন্ন সংসদ অধিবেশনে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি নেই

0
image-298337-1586867936

সংসদ রিপোর্টারঃ আগামী ১৮ এপ্রিলের জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমকর্মীদের সংসদ টেলিভিশন থেকে অধিবেশন কাভার করার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও কোনো ভিজিটরকেও এবারের সংসদ অধিবেশনে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবার স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের গণসংযোগ শাখার পরিচালক তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, সংসদ বিটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সব সাংবাদিককে জানানো যাচ্ছে যে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আগামী ১৮ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫টায় একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। করোনার জন্য সবার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এ অধিবেশনটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ প্রেক্ষাপটে সব সাংবাদিককে সরাসরি সংসদে না এসে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত সংসদ অধিবেশন কাভার করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই আগামী ১৮ এপ্রিল বসছে একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রক্ষার্থে অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। এর আগে ২২ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই অধিবেশন স্থগিত করা হয়।

সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার (ক) উপদফায় উল্লেখ আছে- ‘প্রথম সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ৬০ দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকবে না।’

ফলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় একাদশ সংসদের সপ্তম অধিবেশন বসছে ১৮ এপ্রিল। ওই দিন বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই কীভাবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অধিবেশন পরিচালনা করা যায় সে বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন শুরু হয়। সেই হিসাবে ১৮ এপ্রিল ৬০ দিনের সময়সীমা।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, এ অধিবেশন খুবই সংক্ষিপ্ত হবে। হতে পারে এক বা দুই দিনের অধিবেশন। এরপর যেহেতু জুন মাসে বাজেট অধিবেশন রয়েছে, তাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণে এবারের অধিবেশন হবে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *