আসামে বন্যার পানি বেড়েছে

উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সরকারি তথ্যমতে, বন্যায় এ পর্যন্ত ২০ জন মারা গেছে। অরুণাচল প্রদেশে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। মণিপুর কার্যত অচল। নাগাল্যান্ডে ধসের কারণে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার কাজে সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের কাজে লাগানো হচ্ছে। দুর্গত ব্যক্তিদের উদ্ধারে গিয়ে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটসহ তিনজন মারা গেছে।
ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদের পানি ফুঁসে উঠছে। চলতি বর্ষায় আসামের ১৩টি জেলার ৩৯ হাজার মানুষ মাথা গোঁজার আশ্রয় হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা সাড়ে তিন লাখের বেশি। পর্যালোচনা বৈঠকের পর শুক্রবার গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের এই তথ্য দেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। রাজ্যের পাবিতোরা অভয়ারণ্যেও পানির তোড় রয়েছে। এতে গণ্ডারসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংও। প্রবল বর্ষণে রাজধানী ইমফলের পরিস্থিতি ভয়াবহ। এদিন সকালে প্রশাসনিক বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইমফলের জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স হাসপাতালটির কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালের সুপার এল রণবীর সিং সাংবাদিকদের জানান, পানিবন্দী গোটা হাসপাতাল চত্বর। তাই জরুরি পরিষেবা বাদে সবই বন্ধ রয়েছে।
প্রবল বর্ষণে নাকাল অরুণাচলও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু শুক্রবার সকালে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনার পরই লাল সতর্কতা জারি করেছেন বলে অরুণাচলের তথ্য ও জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানানো হয়।
আসাম সীমান্ত সংলগ্ন নাগাল্যান্ডের মককচাং ধসের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি এই জনপদে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। ধসে নাকাল প্রতিটি পাহাড়ি রাজ্যও। ত্রিপুরার পাহাড়ি এলাকাতেও বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়ছে পাহাড়।
বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের সহায়তায় গিয়ে অরুণাচলে বিমনা বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।