এবারও ব্রিটেনে আলোচনায় টিউলিপ

অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ আলোচিত ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়তে পারলেও তার আরও বড় পরিচয় বঙ্গবন্ধুর নাতনি হিসেবে। হ্যাঁ, ব্রিটেনের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসন কিলবার্ন-হ্যাম্পস্টেডের লেবার-দলীয় এমপি, শেখ রেহানাকন্যা টিউলিপের কথা বলা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নাতনি বলেই টিউলিপের জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই প্রেস্টিজ ইস্যু হিসেবে দেখছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের লেবার সমর্থক শীর্ষ নেতৃবৃন্দ!
ইতিমধ্যে টিউলিপের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির একজন সিনিয়র সহসভাপতি বহিষ্কারও হয়েছেন। তাই মূলধারার বাইরেও কমিউনিটিতে সবার নজর এখন টিউলিপের নির্বাচনের দিকে। টিউলিপের নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়মিতভাবে লন্ডন ও ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে আওয়ামী লীগ নেতারা যোগ দিচ্ছেন। বাসায় বাসায় গিয়ে লিফলেট পৌঁছে দেওয়া, টিউলিপের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে মানুষকে জানান দেওয়ার কাজও করছেন তারা। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর ফেসবুকে শোভা পাচ্ছে টিউলিপের নির্বাচনী প্রচারণার ছবিসংবলিত নিয়মিত আপডেট।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ব্রিটেনে মূলধারার নির্বাচনে টিউলিপের বিজয় আমাদের জন্য অবশ্যই গর্বের। ’ মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি লেবার দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন ২০১০ সালে। এরপর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর কর্মদক্ষতায় ২০১৫ সালে ব্রিটেনের সংসদীয় নির্বাচনে অন্যতম কঠিন আসন কিলবার্ন ও হ্যাম্পস্টেড থেকে নির্বাচিত হন। এই আসনে ২০১০ সালে নির্বাচনে বিখ্যাত অভিনেত্রী গ্লেন্ডা জ্যাকসন মাত্র ৪২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। এ ছাড়া ক্যামডেন কাউন্সিলে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি থাকলেও টিউলিপের আসনে খুব কম বাংলাদেশি রয়েছেন। তাই এই কঠিন আসনে একজন এথনিক প্রার্থী হিসেবে ২০১৫ সালে টিউলিপের ১ হাজার ১৩৮ ভোটের বিজয়কে ব্রিটেনের মূলধারার দলগুলো বড় ধরনের বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উদ্বোধনী বক্তৃতায় টিউলিপ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার মা শেখ রেহানার ব্রিটেনের অভিবাসী হওয়ার দিনগুলোর কথা তুলে এনে সবার নজর কাড়েন। এ ছাড়া নিজের নির্বাচনী এলাকার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে নিয়মিত কথা বলেছেন সংসদে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে বিরোধিতা করে ছায়া মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে ব্রিটিশ মূলধারার সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন তিনি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্রিটেনে আসার বিরোধিতা করেও আলোচনায় আসেন টিউলিপ। মধ্যবর্তী এই নির্বাচন নিয়ে কেমন আশাবাদী টিউলিপ? জবাবে জানান, ‘এই আসনে আমার মা-বাবার বিয়ে হয়েছে, আমার জন্ম, লেখাপড়া, বেড়ে ওঠা, রাজনীতিবিদ হওয়া সবকিছুই। আমি নিজে খুব সম্মানিত বোধ করছিলাম এই আসনের এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে কথা বলতে পেরে। আমি পূর্ণ আশাবাদী বিশাল ব্যবধানে জয়লাভের ব্যাপারে। ’
টিউলিপ আরও বলেন, ‘মানুষের উচিত এমন সরকারকে ভোট দেওয়া যারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ করবে, তারপর ব্রিটেনকে ভাঙা থেকে রক্ষা করবে। কনজারভেটিভ সরকার তাদের সব প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।