এবারের শোভাযাত্রার বাণী, মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

0
image 3

image 3

আলোকিত সূর্যের প্রত্যয়ে শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে থেকে ১৪২৫ বঙ্গাব্দের মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার বাণী, মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের উদ্বোধনের পর সূর্যকে সামনে রেখে লালনের ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ বাণীতে ধ্বনিত হয়ে যাত্রা শুরু করে শোভাযাত্রা।

এটি শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (সাবেক রূপসী বাংলা) চত্বর ঘুরে শিশুপার্ক ও মৎস ভবন ঘুরে ফের চারুকলার সামনে এসে শেষ হবে।

শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া নানা বয়সী মানুষের হাতে হাতে ছোট ছোট পেঁচা, বাঘের মুখের প্রতিকৃতি। রয়েছে বিশাল মাথার রাজা রানী। নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য নিয়ে এক একজন রাজা রানী অনন্য।

লোকে লোকারণ্য এ আনন্দ মিছিলের মাঝে আছে বিশাল আকারের সব প্রতিকৃতি। লোক সংস্কৃতির মাটির টেপা পুতুলের অবয়বে তৈরি হয়েছে হাতি, ঘোড়া, বিশাল একটি পুতুল, মাছ সামনে নিয়ে মাছরাঙা, রাগী একটি ষাঁড়। এদের সবার নেতা বিশাল এক সূর্য।

এর আগে রাজধানীর রমনা উদ্যানের অশ্বত্থমূলে পহেলা বৈশাখের ভোরে বাঁশিতে আহীর ভৈরব রাগালাপের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছরের আবাহন।

ছায়ানট এ প্রভাতী আয়োজন করেছে। এটি ছায়ানট আয়োজিত বর্ষবরণের ৫১তম আয়োজন।

ভোর ৬টা ১০ মিনিটে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘অরুণকান্তি কে গো যোগী ভিখারি’ গানে শিল্পী মর্তুজা কবির মুরাদ তার বাঁশিতে তুলেছেন আহীর ভৈরব রাগ। ১৫ মিনিট ধরে চলা বাঁশির সুরের মুর্ছনা ছড়িয়ে পড়ে রমনার চারপাশে।

এরপরই শুরু হয় প্রথম সম্মেলক গান ‘ঐ পোহাইল তিমির রাত্রি’। খায়রুল আনাম শাকিল পরিবেশন করেন একক গান ‘কল্যাণী শুভ প্রভাত, প্রথম আলোর চরণ ধ্বনি’।

শাশ্বত বাঙালি হবার প্রত্যয়ে ছায়ানটের এবারের প্রভাতী বর্ষবরণের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান’। অনুষ্ঠানে দেড় শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণ করেছেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *