এমপি রানা ও তার তিন ভাইকে আ. লীগ থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামীলীগ

0
cd9d3219ab1715ef67aa3073abe1929c-5706235086115

cd9d3219ab1715ef67aa3073abe1929c-5706235086115

দিনবদল ডেক্স: টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যায় সাংসদ আমানুর ও তার ভাইদের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমানুর রহমান কারাগারে আটক অবস্থায়ই ঘাটাইলের ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই খুনি চক্রের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

সভার কার্যবিবরণী অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলেও জানান জোয়াহেরুল ইসলাম।

সাংসদ আমানুরের অন্য তিন ভাই হলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন।

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়া নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় ঘাটাইলের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানার। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি ফারুককে নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে ছোটভাই রাজার মাধ্যমে ডেকে নিয়ে আসেন এমপি রানা। সেখানে ফারুককে ওই পদে নির্বাচন না করার জন্য প্রথমে অনুরোধ ও পরে ভয়-ভীতি দেখান রানা। কিন্তু এতেও ফারুক সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে এমপি রানা ভীষণ ক্ষিপ্ত হন। ফারুক তার অফিস থেকে বের হওয়ার সময় তাকে পেছন থেকে গুলি করা হয় এবং মুখ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে একটি রিকশায় করে ফারুকের লাশ তার বাড়ির কাছে ফেলে আসেন এমপি রানার ভাই রাজা। এ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর জেলখানায় বসেই ঘাটাইলের ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদকে হত্যার নির্দেশ দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে এমপি রানার বিরুদ্ধে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *