ঐকমত্য হলে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন

0
1499003215

1499003215

সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য পৌঁছালে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা বাহিনী মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেননা বিদ্যমান আইনানুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় (সশস্ত্র বাহিনী) সেনাবাহিনী নেই। সরাসরি নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে না সেনাবাহিনী। ফলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে মোতায়েন করা হয়। বিএনপি আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ বলেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকবে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে যদি সব দলের ঐকমত্য থাকে ক্ষেত্রে কমিশন পজিটিভলি দেখবে। সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে সবার ঐক্যমত্য থাকলে কমিশন সেই সিদ্ধান্তে সম্মান দেখাবে।

ইসি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। কোনো সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিত ছাড়া হয়নি। বিশেষ করে সাধারণ নির্বাচন যে আঙ্গিকে হোক বা যে ক্যাপাসিটিতে হোক সেনাবাহিনী মাঠে ছিল। পুরো কমিশনে আলোচনা ছাড়া বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এ পর্যায়ে কমিশনও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। একটু সময় লাগবে। ল অ্যান্ড ফোর্স এজেন্সির যে সংজ্ঞা দেয়া আছে, সেখানে তালিকায় যারা আছেন, আমার ধারণা তারাই পর্যাপ্ত। যেকোনো সিদ্ধান্ত তারাই নিতে পারবে। সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। কমিশন এগুলো ছেড়ে দেবে না, দৃঢ়তার সাথে দেখবে।

সব রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় ফিরিয়ে আনা হবে এটা আমরা বলতে পারি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কমিশন পজিটিভলি দেখবে। সবার ঐক্যমত থাকলে কমিশন সেটাকে অনার করবে আমার যতটুকু ধারণা।

গত শনিবার গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্তত এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এর আগেও সোনাবাহিনী এ দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু এখন তারা সেনাবাহিনী চান না, কারণ চান না মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিক।

আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকবে। নির্বাচন কমিশন মনে করলে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়ন করবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *