করোনার নতুন আরেক উপসর্গ

0
Untitled

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের এতদিন ঠান্ডা-কাশি, জ্বর ও গলাব্যথা ছিল। এসবের বাইরে দেখা দিচ্ছে এক এক করে নতুন উপসর্গ । বর্তমানে অনেকেই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন নতুন উপসর্গ নিয়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও প্রিভেনশন’ জানাচ্ছে, করোনার নতুন উপসর্গ হিসেবে পেশী ও গাঁটে গাঁটে ব্যথা দেখা দিয়েছে । তবে সবার ক্ষেত্রে এ সমস্যা দেখা দেবে এমন নয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে এটা ঘটতে পারে কমপক্ষে ১৫ জনের ক্ষেত্রেই।
বিভিন্ন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন, রোগীর অবস্থা কতটা জটিল হবে তা তার উপসর্গ বলে দেবে। ব্যথা যত মারাত্মক হয় তত আশঙ্কা বাড়ে ফুসফুসের জটিলতম সমস্যা অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনড্রোম বা এআরডিএসের।
তারা জানান, জ্বর থাকে ৮৭.৯ শতাংশ রোগীর, শুকনো কাশি ৬৭.৭ শতাংশের, ক্লান্তি ৩৮.১ শতাংশ, শ্বাসকষ্ট ১৮.৬ শতাংশ এবং পেশী এবং গাঁটে ব্যথা (মায়ালজিয়া ও আর্থ্রালজিয়া) থাকে ১৪.৮ শতাংশ রোগীর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের ৫৫ হাজার ৯২৪ জন রোগীর ওপর সমীক্ষা চালিয়ে উপসর্গের এই ক্রম তৈরি করেছে।
তালিকায় এরপর আছে গলা ব্যথা ১৩.৯ শতাংশ, মাথা ব্যথা ১৩.৬ শতাংশ, কাঁপুনি ১১.৪ শতাংশ। অবশ্য পেশী ও গাঁটে ব্যথা মানেই করোনা হয়েছে নয়। ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর-সর্দি ও ফ্লুতে আক্রান্ত হতে পারেন অনেকে। এ সময় হতে পারে কমবেশি পেশী ও গাঁটে ব্যথা।
কেন হয়? : ভাইরাস সংক্রমণ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়ে যখন লড়াই শুরু করে, তখন প্রদাহের প্রবণতা বাড়ে শরীর জুড়ে। পেশীতে প্রদাহ হলে পেশীতে ব্যথা হয়। লিভারে হলে লিভার বাড়ে এনজাইম এসজিপিটি। ফুসফুসে হলে তার কার্যকারিতায় টান পড়ে।
কখন বিপদ? : চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যায়াম না করা সত্তে¡ও গায়ে, হাত, পায়ে ও কোমরে ভারী ব্যায়াম করার পর যেমন ব্যথা হয়, তেমন হতে পারে। এটি ভয়ের কারণ।
জটিলতা : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মেগান কফি চীনের ওয়েনঝাওয়ের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩০ থেকে ৪৯ বছর বয়সের ভর্তি ৫৩ জন রোগী নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছেন। তিনি জানান, এদের মধ্যে কাদের ফুসফুস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা অনেক সময়ই নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের ওপর। এগুলো হলো- রক্তে লিভার এনজাইম এসজিপিটির মাত্রা বাড়া। পেশীতে টাটানো তীব্র ব্যথা। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কিছুটা বেড়ে যাওয়া।
কী করবেন : চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব রোগীর কারো অবস্থা খুব দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। কখনও শ্বাসকষ্ট এত তীব্র শুরু হয় যে হাসপাতালে যাওয়ার পথেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এসব রোগীকে আগে থেকে ভর্তি করে অক্সিজেন ও অন্যান্য চিকিৎসা করলে ফুসফুসের ঠেকানো যেতে পারে দ্রুত খারাপ হয়ে যাওয়া।
সূত্র : ফক্স ৮

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *