করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

0
download (5)

গত মাস দেড়েক আগেও যেখানে দেশী-বিদেশী লাখো পর্যটকের পদভারে মুখরিত ছিল বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বিপুলসংখ্যক পর্যটকের পাশাপাশি অতিমাত্রায় যান্ত্রিকতা, সৈকত জুড়ে বীচ বাইক, জেটস্কী, স্পীড বোট ,প্রচন্ড হৈচৈ ছিল । আর এখন সৈকতজুড়ে সাগরের ঢেউয়ের গর্জন ছাড়া আর কোন কোলাহল নেই। দেশে চলমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে চলছে টানা নিষেধাজ্ঞা। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতজুড়ে এখন কেবলই নির্জনতা। নির্জন এ সৈকতে রাজত্ব করছে সামুদ্রিক কাছিম , বিভিন্ন প্রজাতির কাঁকড়া ও শামুক। সৈকতের এমন দৃশ্য একেবারেই বিরল। সৈকতের বর্তমান পরিস্থিতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পরিবেশবাদীরা। পাশাপাশি এসব প্রাণ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সৈকতের কয়েকটি অংশকে প্রকৃতিবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করেন তারা। সরেজমিনে কয়েকটি পয়েন্ট ঘুওে দেখা যায়, ফাঁকা সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে শামুক-ঝিনুক। এদিক – ওদিক ছুটাছুটি করছে লাল কাঁকড়ার দল। মাঝে মাঝে কূলে উঠে আসছে সামুদ্রিক কাছিম। হরিণের নৃত্য , এছাড়াও এ গাছ থেকে ও গাছে লাপিয়ে খাদ্য সংগ্রহ করছে বন বানর । হরেক জাতের পাখিরা বাসা তৈরিতে ব্যাস্ততা সহ সাগরের পানিতে গা বাসিয়ে গাঙচিল খেলা করা ও ঝাক বেধে উড়ার চোখ জুড়োনো এমন দৃশ্যেও অবতারনায় মুখর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকা। সমুদ্র সৈকত এলাকা বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ উপকূলে রয়েছে, ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার , ৩৩৬ প্রজাতির শামুক – ঝিনুক , ১৬ প্রজাতির কাঁকড় া, ৭ প্রজাতির কাছিম , ১০ প্রজাতির ডলফিন , তিন প্রজাতির তিমি ও ২০০ প্রজাতির সি – উইড।
যা সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে। সচরাচর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ১১ টি পয়েন্ট সারা বছর পর্যটকে ভরপুর থাকে , সেসব পয়েন্টে এসব জলজপ্রাণীর দেখা মিলত না। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ ও এর অন্যতম কারণ বলছেন পরিবেশবাদীরা

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *