কাঁচা বাজারে দাম চড়া

0
Kaca-Bazar

Kaca-Bazar

ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে বেশিরভাগ সবজি বা কাঁচামাল বিক্রেতা গ্রামেগঞ্জে অবস্থান করছেন। ফলে ঈদের পর রাজধানীর বাজারে ক্রেতার আনাগোনা কিছুটা থাকলেও বিক্রেতার বড় অভাব। এ কারণে শাক-সবজির দাম বেশ চড়া।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ছুটির কারণে পাইকারি বাজারে সরবরাহ খুবই কম। ফলে বেশি বেড়েছে সবজির দাম। সঙ্গে বেড়েছে মাছ, ডিম, মুরগির দামও। কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। ৯৫-৯৬ টাকার ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়।

এ ছাড়া মাছের দামও চড়া। ঈদের আগের ৬০০-৭৫০ টাকা কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। বেশিরভাগ মাংসের দোকান এখনো বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগের চেয়ে এক সপ্তাহের ব্যধানে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এমনকি ঈদের পরদিন এবং বুধবারের চেয়ে আজ দর বাড়তি। কাঁচা মরিচের ঝাল বেড়েছে দ্বিগুণ।

ঈদের আগে ও পরের দিনও যে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বৃহস্পতিবার সকালে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। তাছাড়া ৭০-৭৫ টাকার প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকায়। সঙ্গে বেড়েছে বেগুন, শসা, করলা পটল, পেঁপের দাম।

রাজধানীর কচুক্ষেত বাজারের সবজি বিক্রেতা আক্কাস মোল্লা জানান, ঈদের লম্বা ছুটি। এ কারণে অধিকাংশ মানুষ এখনও গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করায় সেখানে সবজির চাহিদা বেশি। ফলে শহরে সবজির সরবরাহ কম হচ্ছে। তাই ঈদের আগের চেয়ে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। তবে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে দামও কমে যাবে।

আক্কাস নামে অপর এক বিক্রেতা জানান, বৃহস্পতিবার তিনি প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা এবং বেগুন ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আর শসা বিক্রি করছেন ৪০-৫০ টাকায়। যা ঈদের আগে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

তিনি আরও জানান, এদিন ২৫ টাকার করলা ৩০ টাকা, ২৪-২৫ টাকার পটল ৩২ টাকা, ২৫ টাকার ঢেঁড়স ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে তিন টাকা বেড়ে ৩২ টাকা, ঝিঙ্গা ৫-৬ টাকা বেড়ে ৩৮-৪০ টাকা, বরবটি ৬-৮ টাকা বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চিচিংগা ২০-২২ টাকা, আলু ২৫ টাকা, কাঁকরোল ২২-২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের কয়েকটি মুদি দোকান ঘুরে দেখা যায় বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১০০-১০৫ টাকায়। খোলা চিনি ৫৪-৫৫ টাকা কেজি, প্যাকেট ৬০ টাকা, প্যাকেট আটা ৩৫ টাকা কেজি, ২ কেজির প্যাক ৬৮ টাকা, খোলা আটা ৩০-৩২ টাকা। পেঁয়াজ দেশি ৩৩-৩৫ টাকা, আমদানি ২৪-২৬ টাকা, রসুন দেশি ১৫০ থেকে ২২০ টাকা, প্যাকেট লবণ ২৯-৩২ টাকা এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি।

মুদিমাল বিক্রেতা জয়নাল জানান, ঈদের পর বিভিন্ন কোম্পানির লোকজন এখনো বাজারে আসতে শুরু করেনি। ঈদের আগে রাখা পণ্যই এখন বিক্রি হচ্ছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *