কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হামলা, ৭ তীর্থযাত্রী নিহত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে আবারো তীর্থযাত্রী পরিবাহী একটি বাসে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। সোমবার অনন্তনাগের রাস্তায় চালানো ওই হামলায় অন্তত ৭ তীর্থযাত্রী প্রাণ হারিয়েছে।
ভারতীয় পুলিশ ও সিআরপি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা সোয়া আটটার দিকে মোটরসাইকেল যোগে তিন জঙ্গি বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে তারা অনন্তনাগের খান্নাবলে নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টের উপরে গুলি চালিয়ে বাতেঙ্গু এলাকার দিকে পালায়। সে সময় বাতেঙ্গুতে শ্রীনগর-জম্মু সড়কের উপরে অমরনাথ যাত্রীদের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। সেই বাস লক্ষ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত গা ঢাকা দেয় তারা।
ওই হামলায় নিহত হন এক মহিলাসহ ৭ তীর্থযাত্রী। সকলেই গুজরাটের বাসিন্দা। জঙ্গিদের গুলিতে আহত হন তিন পুলিশকর্মীসহ ১৪ জন। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাতেঙ্গু থেকে পালানোর সময়ে আরওয়ানিতেও বাহিনীর শিবির লক্ষ করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করেছে বাহিনী। তাদের সন্দেহ, লস্কর ই তৈয়বা ও হিজবুল জঙ্গিরা মিলে এই হামলা চালিয়েছে।
কাশ্মীরের পর্যটনমন্ত্রী প্রিয়া শেঠির দাবি, যে বাসটিতে যাত্রীরা যাচ্ছিলেন সেটি নথিভুক্ত ছিল না। ফলে বাসটিকে তীর্থযাত্রীদের যান হিসেবে চিহ্নিত করার উপায়ও ছিল না। দেওয়া হয়নি নিরাপত্তাও। এ ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
এর আগে ২০০০ সালে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জন অমরনাথ যাত্রীর। এ দিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মোদী, সোনিয়া গান্ধী, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও হুরিয়ত নেতৃত্ব। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উচিত নিরাপত্তায় চরম গাফিলতির দায় স্বীকার করে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে এ ধরনের ঘটনা আর কখনো না ঘটে।’ হিন্দুস্তান টাইমস।