কোটাবিরোধীদের ছেড়ে দেয়ায় অবরোধ প্রত্যাহার

রাজধানীর রমনা থানায় আটককৃত কোটাবিরোধীদের ছেড়ে দেয়ায় শাহবাগ থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় মিছিল থেকে ৫৩জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
এরআগে, বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট মোড়ে এলাকায় গেলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় সেখানেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে তারা। এ সময় দুই পক্ষে বেশকিছু সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
আন্দোলনকারী জানান, হাইকোর্ট মোড়ে আন্দোলন করার সময় তাদের পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। ওই আটক ব্যক্তিদের ছাড়াতে তারা রমনা থানায় গেলে আরও কমপক্ষে ৫৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে আরও ৪০-৪৫ জনকে থানায় আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত আছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য। এর বাইরে ১০ শতাংশ নারী কোটা, পশ্চাদপদ জেলাগুলোর জন্য আরও ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ এবং এক শতাংশ কোটা আছে প্রতিবন্ধীদের জন্য। এই কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
তাদের কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সকালে সারা দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এবং ঢাকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসান আল মামুন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
আগামী ১৮ মার্চ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্বালন করবেন বলেও জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।