ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে কক্সবাজারে বাঁধ ভেঙে ৪০ গ্রাম প্লাবিত

0
cox-s-bazar-29-05-pic==6_48342_1496089302

cox-s-bazar-29-05-pic==6_48342_1496089302

ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে সোমবার সকাল থেকেই সাগর উপকূল উত্তাল হতে শুরু করে। দুপুরে সমুদ্রে পানির প্রবাহ বেড়ে ঢেউয়ের তোড়ে ভাঙতে শুরু করে কক্সবাজার সৈকতের বালিয়ারি ও ঝাউবিধি। তলিয়ে যায় ‘ওয়াকওয়ে’। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ারের ফলে ইতিমধ্যে কক্সবাজারে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিকালে জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় পানি বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়সহ বসতবাড়িতেও ঢুকে পড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ কিলোমিটার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের প্লাবনে ৪০ গ্রামের কয়েকশ’ ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

পাউবো সূত্র আরও জানায়, কক্সবাজারের টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া ও কক্সবাজার সদর উপজেলার পাউবোর ৫৯৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এরই মধ্যে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে আড়াই কিলোমিটার, মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়নে দেড় কিলোমিটার, মাতারবাড়ি ইউনিয়নে ১০০ মিটার ও কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীতে ৮০ মিটারসহ পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গেছে।

কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ও টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিক মিয়া বলেন, মোরার প্রভাবে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম অংশের ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে সয়লাব হয়েছে আটটির বেশি গ্রাম। আড়াই বছর ধরে এখানে কোনো প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ নেই। এই এলাকার ভাঙা বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার গত বছর ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও এ পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। অন্যদিকে জোয়ারের ধাক্কায় উপজেলার খুরেরমুখ, সাবরাং, আছারবনিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আরও কয়েক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। দুপুরে জোয়ারের ধাক্কায় দ্বীপের পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়ার শতাধিক বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধ নিয়ে উপকূলের লাখো মানুষ আতঙ্কে আছেন। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় মোরা এ আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় স্থলে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *