চলমান আন্দোলন সাত দিনের জন্য স্থগিত করেছেন ঢামেক ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

0

চিকিৎসক লাঞ্ছনার ঘটনায় চলমান আন্দোলন সাত দিনের জন্য স্থগিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু ইউসুফ ফকির।

তিনি জানান, আন্দোলন সাত দিনের জন্য স্থগিতে সম্মত হয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ সময়ের মধ্যে তাদের দাবির বিষয়ে আলোচনা চলবে।

তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি- চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, চিকিৎসক সুরক্ষা আইনের বাস্তবায়ন। আমরা শিক্ষক ও চিকিৎসক। আমরাও দাবিতে একমত। তবে তা আলোচনা সাপেক্ষ। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদেরর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। এরপর সাত দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।

জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর ডাক্তার আবদুল হানিফ টাবলু, বিএমএ নেতা আলাদ্দিন ও আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।

এ ব্যাপারে ইন্টার্ন ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীরর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। মিটিংয়েও বিএমএ সভাপতির সঙ্গেও কথা হয়েছে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। দাবিগুলো হলো-
১. পাশ ছাড়া কোনো রোগীর স্বজন হাসপাতালে থাকতে পারবে না, থাকলেও সর্বোচ্চ দুজন।
২. হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. আনসারের পাশাপাশি সুদক্ষ বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ।
৪. এন্ট্রি পয়েন্টগুলোতে সার্বক্ষণিক আনসার সদস্যদের অবস্থান নিশ্চিত করা। এবং
৫. চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন।

তিনি বলেন, এসব দাবি বাস্তবায়নে এক সপ্তাহেরর সময় তারা নিয়েছেন। এরমধ্যে যদি বাস্তবায়ন না হয় তবে ফের আন্দোলন শুরু হবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার ঢামেক হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন নওশাদ নামে এক রোগীর মৃত্যুর পর ডাক্তারদের লাঞ্ছিত করে রোগীর স্বজনরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও মারধর করে রোগীর স্বজনরা।

চিকিৎসক লাঞ্ছনার ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় ঢামেকের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. বিদ্যুত কান্তি পালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *