ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের মহানুভবতায় রুমা উন্নত চিকিৎসায় ভারতে

0
image-34301

image-34301

মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?

কে বলে মানুষ মানুষকে সাহায্য করে না । বিপদে যেমন বন্ধুর পরিচয়, তেমনি বিপদে পড়লে মানুষ অবশ্যই পাশে এসে দাঁড়ায়। তার এক জলন্ত উদাহরন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

টাকার অভাবে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত নীলফামারী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী রুমা আক্তারের চিকিৎসা যখন বন্ধের পথে, তখন হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। তার মহানুভবতায় আজ রুমাকে পাঠান হয়েছে ভারতে। তামিলনাড়ুর ভেলরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে তার অপারেশনের প্রস্তুতি চলছে।

রুমাকে নিয়ে ভারত গেছেন তার ভাই রণি। চলতি মাসের ৭ তারিখে সন্ধ্যা সাতটার রেলযোগে দুই ভাই-বোন রওয়ানা হন ভারতের উদ্দেশে।

রুমার যাতায়াত ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা তুলে দিয়েছেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক। আর তারই নির্দেশে দেশে তার চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ভারতে যাওয়ার ব্যবস্থার তদারকি করেন সোহরাওয়ারর্দী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল হোসাইন।

শাকিল বলেন, ‘জাকির ভাই রুমার চিকিৎসার বিষয়ে যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব আমাকে দেয়ার পর ১০ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেনের কাছে রুমাকে দেখানো হয়। এম আর আই রিপোর্টে রুমার মাথার সামনের দিকে ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে। ডাক্তার অপারেশনের পরাপর্শ দেন।’

শাকিল বলেন, ‘আমরা রুমার পরিবারকে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিলে তারা এতে রাজি হয়। এবং রুমাকে কয়েকদিনের জন্য দেশের বাড়িতে নিয়ে যায়।’

জানা যায় ছাত্রলীগ নেতা, ‘রুমার ভাই রনিকে ফোন দিলে রুমাকে ডাক্তার দেখানো হয়েছে বলে সে জানায়। ডাক্তার কিছু পরীক্ষা করতে বলেছে। যদি ভালো থাকে তাহলে এই সপ্তাহে বা অতি শিগগির রুমার অপারেশন হবে।’

download

গত কয়েক মাস ধরেই ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত নীলফামারী সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী রুমা। অসুস্থতার প্রথম দিকে পারিবারিকভাবে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু অভাবের সংসারের অসুস্থ রুমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে করতেই বাড়ি থেকে নিয়ে আসা সব টাকাই শেষ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে চিকিৎসা শেষ না করেই জানুয়ারির ৩০ তারিখ সোমবার অসুস্থ বোনকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান রুমার ভাই রনি।

রুমার ভাই রনি পেশায় মোটর মেকানিক ও বাবা মোবারক খান নীলফামারী জেলা শহরের সবুজপাড়া মহল্লার পত্রিকার হকার। তাদের অভাবের সংসারে রুমা আক্তারের (ইতিমনি) বাবা-ভাইয়ের পক্ষে তার চিকিৎসার জন্য তিন লাখ টাকা যোগাড় করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অর্থের অভাবে রুমার চিকিৎসা আটকে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ হয়। সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা সাজলু লস্করের সেই পোস্টটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নজরে এলে রুমার সমস্ত চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
[one_fifth_last]

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *