জমিদখলের উদ্দেশেই মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে গোলাম মর্তুজাকে।

0
BNP_2-67d05aef6f73c

শুক্রবার,
২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৪ মার্চ ২০২৫ ইং,

দিনবদল ডেস্ক :

গোলাম মর্তুজার স্ত্রী নাদিরা মর্তুজা বলেন,”পর্বত নগরে আবাসিক এলেকায় একটি জমি দখল করার উদ্দেশ্যেই মিথ্যা হত্যা মামলায় আমার স্বামীকে গ্রেফতার করানো হয়েছে”।

আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার দিনবদল নিউজ সংবাদদাতার সাথে মুঠোফোনে আলাপচারিতায় এ তথ্য জানান মিসেস নাদিরা মর্তুজা।

তিনি বলেন ১১ মার্চ দিবাগত রাতে ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী ওই এলাকায় গোলাম মর্তুজার প্লটের সাইনবোর্ড তুলে নিয়ে রাতের অন্ধকারে বাউন্ডারি ওয়াল করে দখল করে নেয়। জমি দখলের সাথে জড়িত একজনের সম্প্রিক্ততার ব্যাপারে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন গত ১০ মার্চ মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা অন্য একটি মামলায় প্রকৌশলী গোলাম মর্তুজাকে আদালতে আনলে এজলাসে জনৈক ব্যাক্তি মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করতে থাকে। ভিডিও করার কারন জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক বিভ্রান্ত হয়ে পরে উক্ত ব্যক্তি।পুলিশের সহযোগিতায় উক্ত ধারণকৃত ভিডিও ডিলিট করা হয় । পরে জানা গেছে জনৈক সে ব্যাক্তির নাম সাইদুল। উক্ত জমি দখলের সাথে সাইদুলের সম্প্রিক্ত থাকার কথা নিশ্চিত করেন মিসেস নাদিরা মর্তুজা ।

এর আগে গত ১১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে তার স্ত্রী প্রিন্সিপাল নাদিরা মর্তুজা এক সংবাদ সম্মেলনে করে ষড়যন্ত্রমূলক এই মিথ্যা মামলার কথা জানান সাংবাদিকদের।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো শাহ আলম, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপির সাবেক সম্পাদক হাজী মো. মজনু মিয়া, ও ব্যবসায়ী আকবর দেওয়ান।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীর স্ত্রী প্রিন্সিপাল নাদিরা মর্তুজা জানান, গত ৩ মার্চ সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টা ২০ মিনিটে র‍্যাব-১ এর একটি টিম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক একটি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাজিয়ে ইঞ্জিনিয়ার এস এম গোলাম মর্তুজাকে আটক করে।

বিএনপির সমর্থক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এস এম গোলাম মর্তুজা সরকার কখনো আওয়ামী লীগ বা এর কোনও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো শাখায় জড়িত নন। বরং তার পরিবার ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। গোলাম মর্তুজার বাবা কাবিল সরকার দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ ধরে পল্লবীর মুসলিম বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির বিএনপি সমর্থিত সভাপতি ছিলেন।

তাছাড়া তিনি ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে বেগম খলেদা জিয়া স্বাক্ষরিত একটি সদস্যভুক্তি রশিদ নবায়ন করেন। ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিএনপির সাধারন সমর্থক হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা আমিনুল হক স্বাক্ষরিত “তথ্য সংগ্রহ ফরম” পূরণ করে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বেশকিছু স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকৌশলী এস এম গোলাম মর্তুজা ২৪ এর গণআন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার পক্ষে সমর্থন দিয়ে আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে একাধিকবার রান্না করা খাবার ও পানি সরবরাহ করেন। এছাড়াও দেয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কনের সময় রঙ ও তুলি সরবরাহ করে উৎসাহিত করেছেন। অথচ তাকে এখন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দলের পল্লবী থানার আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বানিয়ে মামলা সাজিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে।

প্রিন্সিপাল নাদিরা মর্তুজা বলেন, আমার স্বামী একজন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। নিজ উদ্যোগে তিনি এলাকায় স্কুল-মসজিদ, মাদ্রাসা, খেলার মাঠ নির্মাণ করেছেন। এসএম গোলাম মর্তুজার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নাই। তাঁরপরও সমাজের এক শ্রেণির কতিপয় ব্যাক্তি তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হেয় করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত এবং গ্রেফতার পরবর্তী সময়েও তার পরিবারকে সন্ত্রাসী দ্বারা হুমকি প্রদান করে আসছে।

মিথ্যা মামলা থেকে গোলাম মর্তুজার নাম বাদ দিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির জোর দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর স্ত্রী এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের নিকট যথাযথ আইনি সহায়তা ও ন্যায়বিচার চান।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *