জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন সুফি কবি অনন্ত মৈত্রী
ঢাকা, ২৩ নভেম্বর: আগামী ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি তাদের সম্মানজনক ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে সুফি কবি ও গবেষক মো. সোহরাব হোসেন খান (অনন্ত মৈত্রী)–কে। মানবাধিকার চর্চা, সাহিত্যকর্ম এবং সুফিবাদভিত্তিক মানবিক দর্শনের জন্য এই সম্মাননা প্রদান করা হবে।
জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কবি ও সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী বলেন, “মানবাধিকার শুধু আইন বা নীতিমালা নয়, এটি একটি জীবনদর্শন। অনন্ত মৈত্রীর সাহিত্য ও সুফিবাদে রচিত প্রতিটি রচনা আমাদের আত্মচিন্তা ও মানবিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে। তার চিন্তাভাবনা সমাজে মানবিক মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করছে। ফেলোশীপ এওয়ার্ড প্রদান আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।”
সোহরাব হোসেন খান, যিনি সাহিত্য ও সুফিবাদ গবেষণায় অনন্ত মৈত্রী নামেই পরিচিত, ১৯৮৬ সালের ১ অক্টোবর নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মো. নুরুল ইসলাম খান ছিলেন ভৈরব রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং মাতা মোছাঃ সালেহা বেগম একজন গৃহিণী। তিনি শিক্ষাজীবন শুরু করেন ভৈরব রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে, এরপর হাজী আসমত কলেজ, ভৈরব থেকে এইচএসসি এবং ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজ, আশুগঞ্জ থেকে স্নাতক সমাপ্ত করেন। সাহিত্যচর্চা ও সুফি চিন্তাধারার প্রতি আগ্রহ থেকেই তিনি ছোটবেলা থেকেই গবেষণা ও লেখালিখিতে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি একজন সন্তানকে লালন করছেন। স্ত্রী ডা. তাহমিনা আক্তার তুলি, এমবিবিএস (ঢাকা), সিসিডি, সিএমইউ। বর্তমানে তিনি ভৈরবের কমলপুর নিউটাউনে বসবাস করছেন।
অনন্ত মৈত্রীর সাহিত্য ও গবেষণা কর্ম বৈচিত্র্যময়। ইতিমধ্যে প্রকাশিত তাঁর একক গ্রন্থের সংখ্যা ১৩টি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- রেসালাত এ চিন্তীয়া, হাদিস সংকলনের ইতিহাস, আত্মদর্শনে আমার সত্তা-১, অনন্ত মৈত্রীর দিকদর্শন,ম চিরন্তন খাজা মঈনুদ্দীন চিন্তী (রা.), আমি সুফিবাদে বিশ্বাসী, মুর্শিদ তুমি, আমি বিশ্বময়, আমার ছবি, প্রেম তুমি। তার গ্রন্থসমূহে সুফিবাদ, ধর্মতত্ত্ব, আত্মচিন্তা, মানবিক মূল্যবোধ এবং জীবন দর্শন সমন্বিতভাবে উঠে এসেছে। অনন্ত মৈত্রীর সাহিত্যকর্ম মানবজীবনের আধ্যাত্মিক দিক, মানবিক দায়িত্ববোধ এবং নৈতিকতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে সমাজে বিশেষ গুরুত্ব অর্জন করেছে।
অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী তামিজী আরও বলেন, “অনন্ত মৈত্রীর চিন্তাধারা মানবিকতার উচ্চমানকে তুলে ধরে। তার রচনাগুলো শুধু পাঠককে অনুপ্রাণিত করে না, বরং আমাদের সামাজিক দায়িত্ব ও ন্যায্যতা সম্পর্কে সচেতন করে। ফেলোশীপ-এর মাধ্যমে আমরা তার অবদানকে সম্মান জানাচ্ছি।”
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে এই অনুষ্ঠান কেবল পুরস্কার প্রদান নয়, এটি মানবাধিকার সচেতনতা ও সুফিবাদী দর্শনের মধ্য দিয়ে সমাজে নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
