ডি,এইচ,এম,এস ডাক্তারদের হাসপাতালে নিয়োগের দাবি।

ঘরে ঘরে চলছে জ্বর, সর্দি, কাশি, শরীর ব্যাথা সহ বিভিন্ন উপসর্গ। অনেক প্যাথলজি ও ক্লিনিক খোলা নেই। নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, এলোপ্যাথিক চিকিৎসকদের চেম্বার বন্ধ।
এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আহ্বানে ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ রায় ও সেক্রেটারী ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে সত্তর হাজার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক জীবনের ঝুকি নিয়ে তাঁদের সেবা কার্য্যক্রম চালু রেখেছে, এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ইমিউনিটি বৃদ্ধীর জন্য আর্সেনিক অ্যালবাম-ত্রিশ ঔষধ বিনামুল্যে উপহার হিসাবে প্রদান করছেন,
দুঃখের বিষয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আমলা-তান্ত্রিক জটিলতায় হোমিওপ্যাথি নিস্পেষিত। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক-গণ সবাই সরকার স্বীকৃত রেজিষ্ট্রাড চিকিৎসক, কিন্ত আমলাতান্ত্রিক অবহেলার স্বীকার, আজ সাধারণ মানুষ জ্বর নিয়ে অস্থীর। হাসপাতালে যেতে ভীত সন্ত্রস্ত, সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলেই আছে ভয়, করোনার সংক্রমণ। সঙ্গে আছে কোয়ারেনটাইন হওয়ার ভয় ।
তার উপর নতুন ভয় সংযোজীত হয়েছে, যদি আগুনে পুড়িয়ে মারে, আজ জাতীয় পুলিশ হাসপাতালে ৫০ জন রোগীকে হোমিও চিকিৎসা দিয়ে ৪২ জন নেগেটিভ হয়েছে, বাঁকীগুলো হবে ইনশাল্লা্।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিষ্ট্রারকে অনুরোধ করছে দেশের রেজিষ্ট্রাড ডি,এইচ,এম,এস ডাক্তাররা, আজ বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি প্রতিষ্ঠিত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচিত এখনই বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের সঙ্গে বসে নতুন ভাবে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা পরিকল্পনা করা। না-হলে করোনা মহামারীতে বাংলাদেশ আমেরিকা ইটালী থেকে কোন অংশে কম হবে না।
জনগনের স্বাস্থ্য নিয়ে স্বাস্থ্য পরিকল্পনা যতদিন চিকিৎসক-দের হাতে না থেকে আমলাদের হাতে থাকবে ততদিন জনসাধারণকে হাসপাতালের বিছানায় ঔষধ পরীক্ষার কাঠবিড়াল হয়ে ভুগতে হবে। লক্ষ মানুষ লক্ষ রকম অসুখে ভুগছে। তাদের অসুখে কোন গুরুত্বই পাচ্ছে না। পরিকল্পনা-হীন অবস্থা । করোনার সঙ্গে লড়তে গিয়ে ভেঙে পড়েছে সাধারন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
অবিলম্বে দেশের রেজিষ্ট্রাড ডি,এইচ,এম,এস ডাক্তারদের হাসপাতালে নিয়োগ দিয়ে কাজে লাগানো যেতে পারে। এতে করোনা আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থ হতে সহায়ক হবে।