তিতুমীর কলেজের ছাত্রকে বাস থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ

0
titimur

titimur

রাজধানীর তিতুমীর কলেজের এক ছাত্রকে বাস থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কলেজ ছাত্রের নাম শাকিল শেখ (২০)। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, বিকালেরাজধানীর মহাখালীতে কলেরা হাসপাতালের (আইসিডিডিআরবি) বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার পর একই বাসের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে তার প্রাণ গেছে। এ সময় শাকিল শেখের সঙ্গে থাকা একই কলেজের শিক্ষার্থী রায়হান ইসলাম আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসের চালককে আটক করেছে বনানী থানা পুলিশ।

তবে বনানী থানার ওসি বিএম ফরমান আলী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, মহাখালী ফ্লাইওভার ব্রীজের নিচে আমতলী ক্রসিং এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় আইসিডিডিআরবির একটি বাসের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত রায়হান ইসলাম জানান, বিকাল ৫টার দিকে মহাখালী ফ্লাইওভার ব্রীজের নিচে আমতলী ক্রসিংয়ে পায়ে হেঁটে কলেজের ৪ শিক্ষার্থী রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় আইসিডিডিআরবির একটি স্টাফ বাসকে তারা ইশারা দেয়। উত্তরাগামী ওই বাসটি না থেমে তাদের চাপা দেয়ার চেষ্টা করে।

এতে তারা উত্তেজিত হয়ে ওই বাসে উঠে চালককে সাবধান করছিলেন। এ সময় চালকের সহকারী ও কয়েকজন যাত্রী শাকিল ও রায়হানকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। এ সময় শাকিলের মাথা বাসের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই তার মত্যু হয়। রায়হানের হাত ভেঙে যায়। তিনি এখন পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না। শাকিলের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শাকিলের বন্ধুরা জানান, শাকিলের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলার শামুকখোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আক্কাস আলী। তিনি তিতুমীর কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মহাখালীর ওয়ারলেস গেট এলাকায় থাকতেন। আহত রায়হান একই কলেজের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর বাসের চালক দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। পরে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় বনানীর কাকলীর মোড় থেকে চালকসহ বাসটি আটক করা হয়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *