তুরস্কে ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধের সুফল

0

IMG_20191013_142043

তুরস্কে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধের সুফল কি শান্তি এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তা লিখে বুঝানো যাবে না।

সবাই এখানে স্বাধীন।সরকারী হলে সিট পাওয়ার অধিকার সব শিক্ষার্থীর। অনলাইনে আবেদন। অনলাইনে সিট প্রাপ্তি। কাথা বালিশ বেডিং পত্র কিছু আনতে হয় না। সবই হল কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করে।হলের নিচ তলায় ওয়াশিং মেশিনে নিজের কাপড় ধোয়া যায়। ময়লা বিছানার চাদর জমা দিলে অফিস রুম থেকে পাওয়া যায় ধোয়া চাদর।

প্রতিটি রুমে রয়েছে মিনি ফ্রিজ। পছন্দের খাবার বা পানীয় রাখা যায়। তবে হলে মাদক প্রবেশ নিষিদ্ধ। কোন গেষ্ট রুম নেই।  কোন হাজিরা নেই। কোন নেতা নেই। সবাই সিরিয়ালে দাড়িয়ে খাবার নেয়। সবাই ভাই ভাই।

হাসির রোল পড়ে টিভি রুমে। উচ্ছাসের বাধ ভাঙ্গে ফুটবল খেলা দেখে। কেউ ফেনার বাচে ক্লাব কেউ বা গালাতা সারাই ক্লাবের সমর্থক। প্রতি ফ্লোরে আছে রিডিং রুম, নামাজ কক্ষ। সবাই যার যার মতো পড়াশোনা করছে। হল কর্তৃপক্ষের আয়োজন সারা বছর ধরে চলে বিভিন্ন খেলাধুলা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কোর্স। সব কোর্সই ফ্রী।

নামাজ রুমে নামাজের পর মাঝে মাঝে কোরাআন তাফসীর অথবা হাদিস পাঠ হয়। যার মন চায় বসবে না চাইলে চলে যাবে। কোন বাধ্য বাধকতা নেই। হলের সামনে রয়েছে বসার জায়গা। কেউ হয়তো খোলা আকাশের নিচে খেতে পছন্দ করে।

সিগারেট খেতে চাইলেও আসতে হবে বাইরে। হলের গেটে সবাইকে ফিংগার প্রেস করে প্রবেশ করতে হবে। ব্যাগ চেক হবে স্কেনার দিয়ে।প্রতিবার প্রবেশ, একই নিয়ম। কোন ভাই ব্রাদার, বহিরাগত হলে প্রবেশ করতে পারবে না। বিদেশে এসে বুঝলাম, আমাদের দেশে কথিত ছাত্র রাজনীতি না থাকলে মানুষ এরকম সুবিধা পেতে পারত। ছাত্রদের কোন উপকারে লেগেছে এই নষ্ট রাজনীতি?

তুরস্কের একটি ইউনির্ভাসিটিতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর জাহিদুল ইসলামের ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *