দেশে নির্মাণ শিল্পখাত বিকাশের অপার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : আমু

দিনবদল ডেক্স: দেশে নির্মাণ শিল্পখাত বিকাশের অপার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ অপার সুযোগ কীভাবে হলো তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, পায়রা সমুদ্রবন্দর, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে, নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও মেট্রোরেল প্রকল্পের মতো মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ফলে এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নিরাপদ নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘সেইফকন-২০১৭’ এর উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ সুযোগ কাজে লাগাতে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের নির্মাণ উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। ফলে নির্মাণ সামগ্রীর অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে রফতানির মাধ্যমে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ প্রশস্ত হবে। এ খাতের প্রসার রফতানি পণ্য বৈচিত্রকরণের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
তিনি বলেন, এসডিজি অর্জনে বর্তমান সরকার জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্যাস সেক্টরে নতুন কূপ খননসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে দেশে গ্যাস উত্তোলনের পরিমাণ বেড়ে চলেছে।
আমু বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে একক জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে জ্বালানি বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কয়লা, গ্যাস, তরল জ্বালানি, নবায়নযোগ্য শক্তি, নিউক্লিয়ার শক্তি ইত্যাদি জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। বিকল্প জ্বালানির উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের ব্যাগাস (আখের ছোবড়া) এবং সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সলিড বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে দেশ-বিদেশের ৬৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের স্টলে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য, নির্মাণ উপকরণ, সবুজ প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইইবির সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এম. শামীম জেড. বসুনিয়া, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মালিক উপস্থিত ছিলেন।