নোংরা পলিটিক্স, পিস্তল , অশোভন আচরণ জায়েদ খানের: চিত্রনায়িকা পপি

জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে অভিযোগ করেছেন একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ও শিল্পী সমিতির সাবেক নেত্রী চিত্রনায়িকা পপি। সম্প্রতি তাঁর ফেইসবুক পোস্ট তিনি এই অভিযোগ তুলে ধরেন,
চিত্রনায়িকা পপির ফেইসবুক পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল-
“যদিও আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ ও মানসিকভাবে হতাশ হওয়ার পরেও চুপ থাকতে পারলামনা, আমি চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্রের মানুষকে শ্রদ্ধা করি এবং ভালোবাসি। আমি একজনকেই দালাল বলে আক্ষায়িত করেছি, বিষয়টি আমি এবং সে উভয়ই জানি , গোটা চলচ্চিত্র সকলেই জানে
#তাহলে কেন এই চিঠি?
#কে পাঠিয়েছিলো??
#কোন সমিতির চিঠি এটা ???
#কার সিগনেচার ????
#জাহিদ খানের নামে ব্যক্তিগত বা পারসোনাল কোন সমিতির চিঠি এটা ….???
#কি এবং কার সার্থে এই চিঠি?
#এই সমিতির মেম্বার কারা কারা এবং উপদেষ্টা কারা………? শুধু আমি না অনেকই পেয়েছে এমন চিঠি, আমার প্রশ্ন ? তা হলে কেন সে শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করলো …… ???
#কে দিয়েছে তাকে এ সাহস, এত বড় অন্যায় বা crime করার ??? অনেক কষ্ট ও শ্রম দিয়ে আজকে আমি পপি হয়েছি, আমার একক নামে বহু সুপার বাম্পারহিট মুভি ফিল্ম ইন্ড্রাস্টিকে উপহার দিয়েছি।ভালো কাজের স্বীকৃতি সরূপ বহুবার রাষ্ট্রীয় পুরুষ্কার পেয়েছি।
# শ্রদ্ধেও ফারুক, আলমগীর, কাঞ্চন, রুবেল, ডিপজল, মিশা ,সোহেল রানা ভাইয়েরা, যাদের সাথে আমি সৌভাগ্যক্রমে বহু ছবিতে একসাথে কাজ করেছি তারা কি আমার মত শিল্পীকে সদস্য পদ বাতিলের জন্য চিঠি দিতে বলেছেন ?? আমাদের মত শিল্পীদের অসম্মান করার জন্য বলেছেন আপনারা?? সরকার বলেছে???
#তাহলে চিঠিতে তাদের সিগনেচার কোথায়? চিঠিতে কার সাইন??? তা হলে জাহিদ খান কি বলতে চান??? …….এই সিনিয়রা চায় আমাদের মত শিল্পীরা চলচিত্রের থেকে বিদায় নিক
-শ্রদ্ধেও আনোয়ারা আন্টি, ববিতা আপা,শাবানা আপা, চম্পা, নতুন, রজিনা আপুরা সহ মৌসুমী আপু, সানী,রিয়াজ ,ফেরদৌস, শাকিব, অমিত হাসান,পূর্ণিমা,নিপুন,মুক্তি, নিরব, সাইমন ও পপি সহ (১৮৪ জাহিদের বাতিল কৃত শিল্পী) এবং আরও অনেক গুনি এবং পরিক্ষীত সম্মানিত সর্বজন স্বীকৃত বহুবার জাতীয় চলচিত্র পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পীরা কি চলচিত্র থেকে চলে যাবে? শুধু মাত্র এক জনের নোংরামির কারনে? উনার পছন্দ অপছন্দের কারনে? উল্লেখ্য বিষয় যেখানে ৮-১০ বছরেও একটা সুপার হিট দুরে থাক ,হিট মুভীও ইন্ড্রস্টিকে দিতে পারেনি…..
# সবার মাথায় কাঁঠাল রেখে সিনিয়ারদের নাম খারাপ কাজে ব্যবহার, তাদেরকে সামনে রেখে অবলিলায় যা তা করে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য
শিল্পী সমিতির মাত্র ৪০০ সদস্যের মন যে জয় করতে পারেনি-সে লক্ষ্য মানুষের মন জয় করবে কি দিয়ে???. নোংরা পলিটিক্স,পিস্তল 🔫, অশোভন আচরণ, মানুষকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দিয়ে, মিথ্যা কথা দিয়ে, সদস্যপদ খারিজ করে। যেখানে তার সদস্য পদটা আমি আমরা বা আমাদের মত সন্মানিত ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটের কারনে। যে তার জন্মকে অস্বীকার করে তাকে কি বলে সন্মোধন করা উচিৎ তা আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম।
চলচ্চিত্র শিল্প চর্চার জায়গা। মেধা বিকাশের জায়গা ,ইতিহাস বলে একজন শিল্পী বিভিন্ন পদে জায়গা করে নিতে পারে তবে সবার পক্ষে একজন শিল্পী হয়ে ওঠা সম্ভব না
দর্শকের মন জয় করতে শ্রম ও ভালো কাজ তো লাগবেই সেক্ষেত্রে নেতা নয় অভিনেতা হতে হয়। দর্শকদের তো আর সদস্য পদ নেই……….বাতিল করবে কি দিয়ে??
শিল্প বা শিল্পী কে ধ্বংস না করে নিজের চরিত্র ঠিক করে শিল্পী হতে চেষ্টা করা উচিত ।তবেই চলচিত্রের মানুষ এবং দর্শক প্রিয়তা পাওয়া যাবে।
একজন শিল্পী কি চাই? সন্মান স্বীকৃতি আর ভালোবাসা। সর্বপুরী আমি বলতে চাই “ আমি চলচ্চিত্রের পপি, আমি সাধারন জনগনের পপি কোন ব্যক্তি বা সমিতির পপি নই”।