পাপুল কাণ্ডে সন্দেহে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত

ডেস্ক রির্পোট: বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ আনতে পারে কুয়েত। মিডিল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। কুয়েতে এমপি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম পাপুলেকে আটকের পর দেশটির সরকার মনে করছে মানবপাচারের সঙ্গে বাংলাদেশি দূতাবাস জড়িত থাকতে পারে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এটি কোনো সাধারণ অপরাধের ঘটনা নয় বা কোনো একজন এমপি এর সঙ্গে শুধু জড়িত নয় বরং এধরনের মানবপাচারের সঙ্গে অপরাধী আন্ডাওয়ার্ল্ড যেমন জড়িত তেমনি বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন কুয়েত এসএম আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে বাংলাদেশ তার রাষ্ট্রদূতকে রেহাই দেবে না। অর্থপাচার ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স বজায় রেখেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, পাচারকারিরা যে দলেরই হোক না কেনো তাকে শাস্তি পেতে হবে। কুয়েতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কালামের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে এবং তিনি এ মাসেই দেশে ফিরতে পারেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুয়েতে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য,গত ৬ জুন কুয়েতে গ্রেপ্তার করা হয় এমপি শহিদুল ইসলামকে। তার বিরুদ্ধে মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের ৫টি বিলাসবহুল গাড়ি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।