প্রধানমন্ত্রী অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন :অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে দেশ। যেতে হবে অনেক দূর। মার্কিন কবি রবার্ট ফ্রস্ট যথার্থই বলেছেন,‘…বাট আই হ্যাভ প্রমিজেজ টু কিপ। অ্যান্ড মাইলস টু গো বিফোর আই স্লিপ`।“
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনকালে তিনি বক্তব্যের শেষ দিকে এ কথা বলেন।
`রূপকল্প ২০৪১` এর আওতায় সরকার দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনার স্বপ্নমূলে থাকবে একটি শান্তিপ্রিয়, উন্নত এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুস্থ সবল আলোকময় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, `সুশাসনের জন্য আমরা অনেক বাধা বিপত্তির মোকাবেলা করেছি। কে ভেবেছিল এ দেশে রাজাকাররা ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলবে? কে বিশ্বাস করেছিল যে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হবে? প্রধানমন্ত্রী অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। আমরা কি কখনও ভেবেছি যে, আমরা ভিক্ষার ঝুলিকে এত দ্রুত ছেটে ফেলতে পারবো? নিজস্ব অর্থায়নে কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবো? পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পারবো?`
অর্থমন্ত্রী বলেন, `সোনা ছড়ানো সমৃদ্ধি আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সময় এসেছে সাহসী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোর পথে অভিযাত্রার। ২০৪১ এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের ৮-১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এজন্য উৎপাদনের উপকরণ পুঞ্জিভূতকরণের পাশাপাশি এগুলোর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে ব্যাপকভাবে।`
`নতুন প্রযুক্তি ও উন্নত ব্যবস্থাপনার আওতায় দেশের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আনতে হবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। নিশ্চিত করতে হবে উৎপাদন নৈপূণ্যের উৎকর্ষায়ন।`
অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত বলেন, প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। গড়ে তুলতে হবে কার্যকর মানব-মূলধন মজুদ। কণ্টকমুক্ত রাখতে হবে ব্যক্তিখাত বিকাশের পথকে। তদুপরি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য স¤প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এসব কাজ পরিকল্পিত উপায়ে সম্পাদনের জন্য আমরা রূপকল্প ২০৪১ এর আওতায় প্রণয়ন করতে যাচ্ছি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা।