ফিলিস্তিনে ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে সোমবার ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’

রোববার,
২২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
০৬ এপ্রিল ২০২৫,
আল হারুন রাফি :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান নৃশংস গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিশ্বব্যাপী গড়ে ওঠা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আগামীকাল সোমবার ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান তারা।
আগামীকাল সোমবার সারা দেশে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে ধর্মঘট পালনের পাশাপাশি রাজধানীতে বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ৭ এপ্রিল সোমবার বিশ্বব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস গ্রুপ। ৬ এপ্রিল রোববার, ওয়াফা নিউজের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার ভয়াবহ দৃশ্য ও নিহতের সংখ্যা তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে এই ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে যুদ্ধের অবসানের জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা একত্রিত করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলি অপরাধ ও ফিলিস্তিনি অধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে উক্ত কর্মসূচি পালনের ব্যপারে কোন নির্দেশনার কথা জানা যায়নি। অন্যদিকে ৬ এপ্রিল রোববার, বিকেলে ঢাবি’র দুই সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এবং এ বি জোবায়ের এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দেন। একই সঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মার্চ ফর প্যালেস্টাইন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংহতি ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা ও ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাকস্বাধীনতার ওপর দমনপীড়নের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউজের সামনের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনিদের অধিকারে সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাছাড়া ইসরায়েলকে মার্কিন সামরিক ও আর্থিক সহায়তা বন্ধ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
মূলত অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। গত ১২ ঘণ্টায় যে হামলা চালানো হয়েছে তার অধিকাংশই খান ইউনিসে। সেখানে শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি প্রতিদিনই আরও খারাপ হচ্ছে। পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য যে কোনো ধরনের খাবার খুঁজছে ফিলিস্তিনিরা। গত এক মাসে গাজায় একটিও ট্রাক প্রবেশ করেনি। তাই খাবার নেই, জ্বালানি নেই, রান্নার গ্যাস নেই। এমনকি ওষুধও নেই, আশ্রয় বা তাঁবুও নেই।