ফেনীতে গৃহবধূকে গুলি করে হত্যাকারী যুবলীগ নেতা

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূ শারমিন আক্তারকে (২২) গুলি করে হত্যাকারী জাহাঙ্গীর আলম পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ জানায়, দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের আদু ভূঞা বাড়ির শামছুল হকের মেয়ে শারমিন আক্তারকে (২২) বিয়ের প্রস্তাব দেয় একই বাড়ির আবদুল মজিদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। এতে রাজী না হওয়ায় ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এর আগেও বিয়েতে রাজী না হওয়ায় ২০১২ সালে শারমিনকে ধর্ষণ করতে চাইলে তার শোর-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রাম্য শালিসে তার শাস্তি হয়।
এদিকে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে পার্শ্ববর্তী জেলা নোয়াখালীর ছমির মুন্সির হাট এলাকার দরগাহ বাড়ির ওমর ফারুকের সঙ্গে শারমিন আক্তার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে শারমিন আক্তার স্বামীর সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছে। সকালে ঢাকা থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে শারমিন। এ খবর পেয়ে বিকেলে শারমিনের ঘরে প্রবেশ করে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা চালায় জাহাঙ্গীর আলম। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে শারমিন আক্তারকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে।
এলাকাবাসী সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীরকে ধরার চেষ্টা করলে অস্ত্র উঁচিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের বোন ফরিদা খাতুন জানান, জাহাঙ্গীর তাদের ঘরে ঢুকে শারমিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি করে পিস্তল দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এর আগেও শারমিনকে নির্যাতনের চেষ্টা চালায় জাহাঙ্গীর। স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিউল্যাহ স্বপন জানান, তার বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সে বিগত নির্বাচনে একই ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন। দাগনভূঞা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘাতক জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোর চেষ্টা করছে পুলিশ।